পোশাকি নাম, ‘অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম’ (এটিএজিএস বা অ্যাটাগ্স)। সামরিক উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ এ বার আসতে চলেছে সেনার হাতে। আর তা ব্যবহারের জন্য গড়া হচ্ছে কয়েকটি নতুন গোলন্দাজ (আর্টিলারি) ব্যাটালিয়ন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০২৭ সালের গোড়াতেই এটিএজিএস সজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলি পাক এবং চিন সীমান্তে মোতায়েন করা শুরু হবে। ৯৫ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ‘হাউইৎজ়ার’ গোত্রের কামান ৪৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। এতে কামানে ‘অক্সিলিয়ারি পাওয়ার মোড’, স্বয়ংক্রিয় নির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। ‘ওয়্যারলেস স্টেট অব দ্য আর্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম’ও রয়েছে এই হাউইৎজ়ারের প্রযুক্তিতে। যার মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কামান বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্তি থাকে। সেই সঙ্গে রয়েছে, রাতের অন্ধকার ভেদ করে শত্রুপক্ষকে খুঁজে বার করার জন্য প্রয়োজনীয় নাইট ভিশন প্রযুক্তিও।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও)-র তৈরি ১৫৫ মিলিমিটারের এটিএজিএস বিষয়ে গত মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’র (ডিএসি) বৈঠকে স্থির হয়েছিল, ৭০০০ কোটি টাকায় ভারতীয় সেনার জন্য ৩০৭টি এটিএজিএস কেনা হবে। সেই সঙ্গে কেনা হবে সেগুলি বহনের উপযোগী ৩২৭টি ‘টাওড ভেহিক্ল’। উৎপাদন সংক্রান্ত বরাত পাচ্ছে ‘ভারত ফোর্জ’ এবং ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম’! ডিআরডিও এবং পুণের আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট (এআরডিই)-এর তৈরি হাউইৎজার ‘কে-৯ বজ্র’ এবং ‘ধনুষ’ ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার ভাঁড়ারে স্থান পেয়েছে। ওই কামানগুলি ব্যবহার করে সন্তুষ্ট সেনা। সেই অভিজ্ঞতার নিরিখেই এ বার কেনা হচ্ছে এটিএজিএসের আধুনিকতম সংস্করণ।