দোল ও হোলি খেলাকে কেন্দ্রে করে ব্যারাকপুরে সামনে আসছে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা। এবার অর্জুন সিং- এর আত্মীয়কে মারধর করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের ছেলের দলবলের বিরুদ্ধে।
হোলি উৎসবে জগদ্দলের মেঘনা মোড় এলাকায় ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং- এর সঙ্গে হোলি খেলতে আসেন তাঁর আত্মীয় অশোক কুমার সিং। ওই দিন রাতে হোলি খেলে বাড়ি ফেরার সময় মেঘনা মোড় এলাকায় অশোক সিং যিনি অর্জুন সিং এর আত্মীয় হওয়ার পাশাপাশি একজন বিজেপি কর্মী তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।ভাটপাড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীতা সিং ও তার ছেলে নমিত সিং- এর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সেই সময় অশোক সিং’কে মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধরের খবর পেয়ে অর্জুন পুত্র বিধায়ক পবন সিং ও প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং তাদের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিলে তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তখন ঐ দুষ্কৃতীরা অশোক সিং’কে ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনাটি সম্পর্কে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে প্রেম ও ডলি নামে দুই জনকে আটক করে জগদ্দল থানার পুলিশ। আক্রান্ত অশোক সিং- এর দাবি কেন তিনি অর্জুন সিং- এর বাড়িতে গিয়ে হোলি খেলেছেন সেই কারণ দেখিয়ে তাকে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমি যখন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি তখন আমাকে চারজন ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। মুখে ও মাথায় কিল চর মারে। আমার ভাই পবন সিং ও অর্জুন সিং, আমি তাদের সঙ্গে হোলি খেলেছি এটা তো অন্যায় নয়। কিন্তু এর জন্য ওরা আমার মেরেছে। যারা মারধর করেছে সবাই তৃণমূলের লোক। তৃণমূল কাউন্সিলর সুনিতা সিং এর ছেলের সঙ্গে ওরা থাকে।”
অপর দিকে বিজেপি বিধায়ক পবন সিং বলেন,
“এটা নতুন নয়। এরকম কাজ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রায় করছে। এবার আমার দাদাকে আক্রমণ করেছে। বারবার পুলিশকে জানিয়ে তেমন কোনো লাভ হয় না। হয় তাদের গ্রেপ্তার করে না, নইলে গ্রেপ্তার করলেও দুইদিন বাদে ছাড়া পেয়ে যায় তারা। যারা আমার দাদাকে মেরেছে ওরা তৃণমূলের নেতা নমিত সিং- এর ঘনিষ্ট। নমিত সিং এরকম কাজ বারবার করছে, নইলে করাচ্ছে। আমি অনেকবার বলেছি এমন গণ্ডগোল না করতে, কিন্তু ও শোনেই না। আসলে তৃণমূলের এই গুন্ডাদের কোনো ভয় নেই। ওরা বুঝে গেছে অশান্তি করবে, মারধর করবে কিন্তু পুলিশ ওদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।”
অপর দিকে প্রাক্তন সাংসদের আত্মীয়কে মারধরের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁর পাল্টা দাবি, এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কোনো ভাবেই জড়িত নন। নেশা করে ওরা অশান্তি করছিল, তাই এলাকার মানুষ তাকে মারধর করেছে। তাঁর দাবি, জগদ্দল, ভাটপাড়াতে কিছু হলেই তাকে বা কাউন্সিলরের ছেলে নমিত সিং’কে দায়ী করা হয়। বিজেপি কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করে না, তার বদলে তৃণমূলের কোনো না কোনো নেতার নাম জড়িয়ে মিথ্যে কথা বলাই ওদের কাজ হয়ে গেছে।