লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভের জার্সি ঘোরানোর ভিডিয়ো দেখে খেলতে নেমেছিলেন আর্চার, ফাঁস করলেন স্টোকস

সোমবার প্রথম স্পেলে ভারতকে জোড়া ধাক্কা দেন জফ্রা আর্চার। প্রথমে ঋষভ পন্থ ও তার পর ওয়াশিংটন সুন্দরকে আউট করেন তিনি। সেই ধাক্কা থেকে অনেক চেষ্টা করেও ফিরতে পারেনি ভারত। লর্ডসে ভারতকে হারানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে আর্চারের। সোমবার খেলতে নামার আগে লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জার্সি খুলে ঘোরানোর ভিডিয়ো দেখেছিলেন তিনি। গোপন কথা ফাঁস করলেন অধিনায়ক বেন স্টোকস।

সোমবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে স্টোকস বলেন, “খেলার আগে আর্চার সৌরভের জার্সি খুলে ঘোরানোর ভিডিয়ো দেখছিল। ও ভেবেছিল, বিশ্বকাপের ফাইনালে ওটা হয়েছিল। আমি ওকে বললাম, না। ওটা ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে হয়েছিল। বিশ্বকাপ ফাইনালে আমরা জিতেছিলাম।”

২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে নাসের হুসেনের ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন সৌরভেরা। ফাইনালে মহম্মদ কাইফ এবং যুবরাজ সিংহের জুটি দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিল। টান টান ম্যাচ জিতে লর্ডসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে জার্সি খুলে ঘুরিয়েছিলেন সৌরভ। লর্ডসের ইতিহাসে এই ঘটনা জায়গা করে নিয়েছে। সেই ভিডিয়ো দেখেই কি অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন আর্চার? তার পর মাঠে নেমে আগুনে গতিতে ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেন তিনি। গড়েন ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত।

ছ’বছর আগে ১৪ জুলাই এই লর্ডসেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন আর্চার। সোমবার সকালে আর্চারের সঙ্গে পরিকল্পনা সেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্টোকস। তিনি বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠেই ছ’বছর আগের দিনটার কথা মনে পড়েছিল। আমি সোজা আর্চারের কাছে গেলাম। বিশ্বকাপ ফাইনালে আমাদের জয়ে আর্চারের বড় অবদান ছিল। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল। এই ম্যাচটা আমরা কী ভাবে জিততে পারি, সেটা নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বললাম। আরও এক বার নিজের কাজ করল আর্চার।’’

স্টোকস মেনে নিয়েছেন ভারতের প্রথম ইনিংসে পন্থের রান আউট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় পন্থকে আমরা আউট করতে পেরেছি। ও একটু দ্বিধায় ছিল। সেটা দেখেই উইকেটে বল ছুড়েছিলাম। হাত থেকে বল বেরিয়ে যাওয়ার পরই বুঝতে পারি, উইকেট ভাঙবে। ওটাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিল।’’

রবিবার এবং সোমবার মিলিয়ে টানা ১৪ ওভার বল করেছেন স্টোকস। যেন নিজের কাঁধেই যাবতীয় দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন। তা নিয়ে স্টোকস বলেছেন, ‘‘ম্যাচে আমাদের সুযোগ ছিল। তাই নিজের সবটা দিতে চেয়েছিলাম। হাল ছাড়তে চাইনি। রবিবার অনেক ধকল গিয়েছে। তাও চেষ্টা করেছি শেষ পর্যন্ত। কোনও কিছুই আমাকে থামাতে পারত না। আমি অলরাউন্ডার। দলকে সাহায্য করার চারটি সুযোগ থাকে। দু’বার ব্যাট হাতে। দু’বার বল হাতে। যতটা সম্ভব সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.