সব ঠিক থাকলে চার বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হওয়ার কথা জফ্রা আর্চারের। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। তবে তার আগে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন ইংল্যান্ডের জোরে বোলার। সাসেক্সের হয়ে ডারহ্যামের বিরুদ্ধে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে নেমে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আর্চারের বিরুদ্ধে উঠেছে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ।
কাউন্টি ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে সাসেক্স। আর্চার করেন ৩৪ বলে ৩১ রান। পরে বল হাতে ৩২ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। চার বছর পর লাল বলের ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নামা আর্চারের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক বলেই মনে করছেন ইংল্যান্ডের নির্বাচকেরা। তবে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তনের আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নিয়ম অনুযায়ী, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে নির্দিষ্ট রঙের মোজা পরতে হয় ক্রিকেটারদের। সাদা বা হালকা ধূসর রঙের মোজা ব্যবহার করা যায়। অন্য কোনও রঙের মোজা পরে খেলা যায় না। অথচ আর্চার কালো রঙের মোজা পরে খেলছেন। যা ম্যাচ অফিসিয়ালদের চোখে ধরা পড়েছে। এই শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তি পেতে হতে পারে আর্চারকে।
কেমন শাস্তি পেতে পারেন আর্চার? ইসিবির নিয়ম অনুযায়ী, দু’রকম শাস্তি হতে পারে জোরে বোলারের। শুধু সতর্কিত হতে পারেন। আবার জরিমানাও হতে পারে তাঁর। আর্চার যদি ম্যাচ রেফারিকে বোঝাতে পারেন, মোজার রঙের নিয়ম সম্পর্কে জানতেন না, তা হলে তাঁকে শুধু সতর্ক করা হবে। কিন্তু তাঁর বক্তব্য ম্যাচ রেফারির যুক্তিগ্রাহ্য মনে না হলে জরিমানা দিতে হবে।
ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে একই অভিযোগ উঠেছিল শুভমন গিলের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পোশাক-বিধি ভঙ্গ করেন শুভমন। শুক্রবার ম্যাচের প্রথম দিন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ব্যাট করতে নামেন কালো রঙের মোজা পরে। আইসিসির ১৯.৪৫ নম্বর নিয়ম অনুযায়ী, টেস্ট ম্যাচে সাদা পোশাকের সঙ্গে ব্যবহার করা যায় সাদা, হালকা ধূসর অথবা ক্রিম রঙের মোজা। এ ছাড়া অন্য কোনও রঙের মোজা ব্যবহারের নিয়ম নেই।
শুভমনের মতো আর্চারের বিরুদ্ধেও ঠিক একই অভিযোগ। পোশাক-বিধি নিয়ে ইসিবি কর্তাদের মনোভাব একটু কড়া। তাঁরা এ ব্যাপারে খানিকটা সংরক্ষণশীল। তাই টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তনের আগে শাস্তি পেতে হতে পারে আর্চারকে।