নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সুকন্যা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।
ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিতেই সুকন্যাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিকেলে কলকাতা হাই কোর্টে সুকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ, টেট পরীক্ষা না দিয়েই সুকন্যা প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। পাশাপাশি এ-ও অভিযোগ করা হয়েছে যে, সুকন্যা না কি কোনও দিন স্কুলেই যাননি। বেতন পান বাড়িতে বসেই। স্কুলের রেজিস্টার খাতা নিয়ে অনুব্রতের বাড়িতে সুকন্যার স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আসা হত বলেও অভিযোগ করা হয়। সুকন্যার নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আবার বলছে, সরকারি চাকরির পাশাপাশি একটি বেসরকারি চাকরিও করেন তিনি।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, টেট পরীক্ষা না দিয়েই সুকন্যা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর নিয়োগ হয় বোলপুর ওয়েস্ট সার্কেলের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলে। আদালতে ফিরদৌস বলেন, ‘‘স্কুলের রেজিস্টার খাতা অনুব্রতের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর মেয়ের হাজিরা নিয়ে আসতেন এক জন।’’ এমনকি, শুধু সুকন্যাই নয়, অনুব্রতের অনেক ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয় চাকরি পেয়েছেন বলেও আদালতে অভিযোগ জানান ফিরদৌস।
অভিযোগগুলি ওঠার পরই সুকন্যাকে আদালতে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর ভর্তি সংক্রান্ত সমস্ত নথি নিয়ে বৃহস্পতিতে তাঁর কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা। দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুকন্যা সরাসরি কলকাতা হাই কোর্টে না গিয়ে চিনার পার্কের বাড়ি হয়ে হাই কোর্টে পৌঁছতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।