তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও পাঁচ জন। রবিবার সকালে বিস্ফোরণটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধনগর জেলায় সাত্তুরের কাছে একটি গ্রামে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের পরে ওই কারখানার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে কারখানার মালিক এলাকা থেকে বেপাত্তা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে জানানো হয়েছে, ওই কারখানায় ৫০টিরও বেশি ঘর ছিল। রবিবার সকালে কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই একটি ঘরে আগুন ধরে যায়। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে আশপাশের ঘরগুলিতেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। নিমেষে অন্তত ১০টি ঘরে আগুন ধরে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের খবর ছড়ানো মাত্রই আশপাশের এলাকাবাসীরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। পরে দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই এক জনের মৃত্যু হয়। জখমদের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা দুই তরুণও রয়েছে। তাঁদSর উদ্ধার করে শিবকাশীর এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ এবং রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকেরা। ওই বাজি কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, নথিপত্র ঠিকঠাক ছিল কি না— তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে ওই কারখানার মালিককে এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কারখানার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
কয়েক দিন আগেই বিরুদ্ধনগরের শিবকাশীর কাছে চিন্নাকামানপট্টিতে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর ফের বিরুদ্ধনগরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক জনের। বস্তুত, গত বছরও শিবকাশীতে একটি বিস্ফোরণ ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরেই শিবকাশীতে যায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল-এর একটি তদন্তকারী দল। সেই সময় ওই তদন্তকারী দলটি বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পেয়েছিল।