ছয় ছক্কা। এ বার ব্যাটারের নাম আন্দ্রে রাসেল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার এই কীর্তি গড়লেন ‘সিক্সটি’ প্রতিযোগিতায়। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেললেন আগ্রাসী ইনিংস।
নিজের দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ‘সিক্সটি’তে খেলছেন রাসেল। সেই প্রতিযোগিতাতেই সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিরুদ্ধে ম্যাচে পর পর ছয় বলে ছয় মেরেছেন। ২৪ বলে ৭২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলার মাঝে এই কীর্তি গড়লেন। টানা ছয় বলে ছক্কা মারলেন বিশ্বের সপ্তম এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসাবে। যদিও ক্রিস গেলের দলের বিরুদ্ধে তাঁর ছ’টি ছক্কা একই ওভারে আসেনি। তাই পর পর ছয় বলে ছ’টা ছক্কা হাঁকিয়েও গ্যারফিল্ড সোবার্স, যুবরাজ সিংহদের নজির ছুঁতে পারলেন না রাসেল।
১০ ওভারের ম্যাচে রাসেল শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। সপ্তম ওভারে বল করতে আসেন ডমিনিক ডার্কেস। সেই ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বলে ছয় মারেন রাসেল। ১৭ বলে পূর্ণ করেন অর্ধ শতরান। পরের ওভারে বোলার ছিলেন জন-রাস জাগেসার। তাঁকেও রেয়াত করেননি রাসেল। প্রথম দু’বলেই ছক্কা হাঁকান। উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘সিক্সটি’ প্রতিযোগিতায় খেলা হয় ১০ ওভারের। টানা পাঁচ ওভার উইকেটের এক প্রান্ত থেকে বল করা হয়। ব্যাটারদেরও প্রান্ত পরিবর্তন করতে হয় না। কোনও দলের ছয় উইকেট পড়ে গেলে ইনিংস শেষ হয়ে যায়।
এই প্রতিযোগিতায় পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের কথা জানিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচকরা। তাই দেশের হয়ে আরও বিশ্বকাপ জিততে চাওয়া রাসেল গুরুত্ব দিচ্ছেন ‘সিক্সটি’কে। সোবার্স, যুবরাজ ছাড়াও রবি শাস্ত্রী, হার্শেল গিবস, কায়রন পোলার্ড, জসকরণ মলহোত্রর এক ওভারে ছ’টি ছয় মারার নজির রয়েছে। রাসেলের পর পর ছ’টি ছয় এল দু’ওভার থেকে।