‘আমেরিকার সোনালি যুগ শুরু হল’! প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর শপথের পরেই আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হল। দেশের নাগরিকদের স্বার্থরক্ষাই হবে তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার। সোমবার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েই এ কথা ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই স্বার্থরক্ষায় অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর পাশাপাশি, আমদানি শুল্ক বাড়ানোই তাঁর ‘অস্ত্র’ বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

শপথের পর প্রথা মেনে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা, জো বাইডেনদের ধন্যবাদ জানিয়ে ক্যাপিটল হিলের রোটান্ডার সোমবার রাতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম বক্তৃতা করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আজ আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হল। আমি আবার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ (আমেরিকার স্বার্থরক্ষা প্রথম অগ্রাধিকার) চালু করব। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে দেব।’’

‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কথা প্রচারের সময় বার বার বলেই ভোটারদের মন কেড়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, এত দিন আমেরিকায় যেটুকু ভাল হয়েছে, তার মুনাফা লুটেছে শুধু ক্ষমতার অলিন্দে বসে থাকা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। তিনি যদি ক্ষমতায় আসেন, সেই ছবি আমূল পাল্টে দেবেন। অন্য দেশ বা অভিবাসী নয়, অগ্রাধিকার দেবেন আমেরিকার নাগরকিদের স্বার্থরক্ষায়। তাঁর ‘মাগা’ (‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’) স্লোগানও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অতিমারি পরবর্তী মন্দায় আক্রান্ত আমেরিকায় কর্মসংস্থানের আশ্বাসে ভরসা রেখেছিলেন সে দেশের নাগরিকেরা।

শপথের আগেই ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই তিনি ‘প্রায় ১০০’ নির্বাহী আদেশে সই করবেন। ওই নির্দেশনামাগুলির অনেকগুলোতেই বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপকে বাতিল করে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় অন্যতম হল, ‘বেআইনি অভিবাসী বিতাড়ন’। ক্যাপিটলে সোমবার তাঁর ঘোষণা, ‘‘বেআইনি অভিবাসন এড়াতে দক্ষিণ সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করব।’’

প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বেআইনি অভিবাসন ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি। এ বারও তাঁর ঘোষণার ‘লক্ষ্য’ মেক্সিকো বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তি ঠেকাতে কূটনৈতিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর পূর্বসূরি বাইডেনের জমানাতেই গাজ়ায় ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে এখনও রক্ত ঝরছে। ট্রাম্পের ঘোষণা— ‘‘আমি শান্তি এবং ঐক্য ফেরানোর কাজ করব।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.