উইম্বলডনের সেমিফাইনালে আলকারাজ, কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলে শেষ চারে সাবালেঙ্কা, জেতাল অভিজ্ঞতা

এ বারের উইম্বলনের সবচেয়ে বড় অঘটনটা ঘটতে পারত মঙ্গলবার। মহিলাদের শীর্ষ বাছাই এরিনা সাবালঙ্কা ছিটকে যেতে পারতেন কোয়ার্টার ফাইনালে। জার্মানির অবাছাই খেলোয়াড় লরা সিগমুন্ডকে হারালেন অভিজ্ঞতায়। সাবালেঙ্কার পক্ষে ম্যাচের ফল ৪-৬, ৬-২, ৬-৪। শেষ আটের লড়াইয়ে এ দিন জিতলেন অন্য বাছাই খেলোয়াড়েরাও। বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে পুরুষদের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রিটেনের ক্যামেরন নরিকে সরাসরি সেটে হারালেন দ্বিতীয় বাছাই কার্লোস আলকারাজ়।

কোয়ার্টার ফাইনালে কিছুটা অগোছাল দেখাল সাবালেঙ্কাকে। বেশ কিছু ‘আনফোর্সড এরর’ করে বসলেন। তার মূল্য চোকালে হল ৪-৬ ব্যবধানে প্রথম সেট হাতছাড়া করে। সে সময় মনে হচ্ছিল, উইম্বলডনের সেমিফাইালে ওঠা যেন সিগমুন্ডের কাছে সময়ের অপেক্ষা। তবে খেলার গড়াতে ক্রমশ ছন্দ ফিরে পেলেন সাবালেঙ্কা। সম্পূর্ণ চেনা মেজাজে হয়তো এ দিন পাওয়া গেল না তাঁকে। তবু জার্মান প্রতিপক্ষ হারানোর জন্য সেটাই যথেষ্ট ছিল। ৬-২ ব্যবধানে সহজে দ্বিতীয় সেট জিতে নিয়ে সমতা ফেরান। তবে তৃতীয় সেটে সাবালেঙ্কাকে আবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেন সিগমুন্ড। একটা সময় ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়েও যান তিনি। মোক্ষম সময়ে প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে লড়াইয়ে ফেরেন সাবালেঙ্কা। টানা তিনটি গেম জিতে সেট দখল করেন। একই সঙ্গে ২ ঘণ্টা ৫৪ মিনিটের লড়াইয়ের পর উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন মহিলাদের শীর্ষ বাছাই।

প্রত্যাশা মতোই উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছোলেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ়। আয়োজক দেশের টেনিসপ্রেমীরা ভাল কিছুর আশায় ছিলেন নরিকে নিয়ে। কিন্তু ২২ বছরের স্প্যানিশ খেলোয়াড় তাঁকে দাঁড়াতেই দিলেন না। ১ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটে একপেশে ভাবে জিতে শেষ চারে পৌঁছে গেলেন রাফায়েল নাদালের শিষ্য। ম্যাচের ফল আলকারাজ়ের পক্ষে ৬-২, ৬-৩, ৬-৩। সেন্টার কোর্টে প্রথম থেকেই দাপট ছিল আলকারাজ়ের। একের পর এক ‘এস’ সার্ভিস করে কোণঠাসা করে দিলেন নরিকে। ব্রেক পয়েন্ট কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও প্রতিপক্ষের থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকলেন আলকারাজ়।

এ দিন মহিলাদের অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন ১৩ নম্বর বাছাই আমেরিকার অ্যামান্ডা অ্যানিসিমোভা এবং অবাছাই আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেনকোভা। প্রথম সেট ৬-১ ব্যবধানে সহজে জিতে নেন অ্যামান্ডা। দ্বিতীয় সেটে অবশ্য তীব্র লড়াই হয়। ৬-৬ হওয়ার পর টাইব্রেকার শুরু হয়। টাইব্রেকারেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত অ্যামান্ডা জিতলেন ১১-৯ ব্যবধানে। ১ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের লড়াইয়ে মহিলাদের ১৩নম্বর বাছাইয়ের পক্ষে ফল ৬-১, ৭-৬ (১১-৯)।

পুরুষদের সিঙ্গলসে সেমিফাইনালে পৌঁছোলেন পঞ্চম বাছাই টেলর ফ্রিৎজ়ও। আমেরিকার খেলোয়াড়কেও কঠিন লড়াই করতে হল। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন ১৭তম বাছাই কারেন খাচানভ। ২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটের লড়াইয়ে ফ্রিৎজ়ের পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-৪, ১-৬, ৭-৬ (৭-৪)। প্রথম দু’টি সেট জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার কিছুটা ছন্দ পতন হয়ে ফ্রিৎজ়ের। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি বিশ্বের প্রাক্তন আট নম্বর খাচানভ। চতুর্থ সেটেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল দু’পক্ষের। শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে পৌঁছোলেন ফ্রিৎজ়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.