নিজের থেকেও অন্য এক জনের উপর বেশি আস্থা আকাশদীপের, কার কথা বললেন বাংলার জোরে বোলার?

ইংল্যান্ড সফরে তিনটে টেস্ট খেলেছেন আকাশদীপ। বাংলার জোরে বোলার ব্যাট হাতেও লড়াই করেছেন। তাঁর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। ইংল্যান্ড সফরে এই সাফল্যের কৃতিত্ব আকাশদীপ দিচ্ছেন ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীরকে।

আকাশদীপ খুশি কোচের আস্থার মর্যাদা দিতে পেরে। বার্মিংহ্যাম টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছেন। ওভালে নৈশপ্রহরী হিসাবে নেমে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। এমন সাফল্য নিয়ে আকাশদীপের বক্তব্য, নিজের ক্রিকেটীয় দক্ষতার প্রতি আস্থা তাঁর যতটা, গম্ভীরের তার থেকেও বেশি। অধিনায়ক শুভমন গিলের ভরসার কথাও বলেছেন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে আকাশদীপের ৬৬ রানের লড়াকু ইনিংস নিয়ে। ওভালের প্রথম ইনিংসে বল করতে নামার আগে কী বলেছিলেন গম্ভীর? বাংলার জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘কোচ আমায় বলেছিলেন, ‘তুমি নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন নও। আমি বলছি, তুমি পারবে। তোমাকে শুধু সব সময় নিষ্ঠা নিয়ে খেলতে হবে।’ গম্ভীর অত্যন্ত উৎসাহী এক জন মানুষ। কোচ হিসাবেও তাই। সব সময় আমাদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন। সাহস দেন। আমি নিজের খেলা নিয়ে যতটা আস্থাশীল, গম্ভীর ভাই আমাকে নিয়ে তার থেকেও বেশি আস্থাশীল। সেটা আমার বোলিং হোক বা ব্যাটিং।’’ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় আকাশদীপের। সে সময় ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তবে গম্ভীরের আমলে প্রথম একাদশে বেশি সুযোগ পাচ্ছেন বাংলার ক্রিকেটার।

কোচের মতো অধিনায়ক নিয়েও উচ্ছ্বসিত আকাশদীপ। তিনি মনে করেন, অধিনায়ক হিসাবে প্রথম টেস্ট সিরিজ়েই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন শুভমন। আকাশদীপ বলেছেন, ‘‘শুভমন খুব ভাল অধিনায়ক। দেখে মনেই হয় না নতুন দায়িত্ব পেয়েছে। আইপিএলে অবশ্য দু’বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আইপিএল বেশ বড় প্রতিযোগিতা। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে।’’ শুভমনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত আকাশদীপ আরও বলেছেন, ‘‘শুভমনের নেতৃত্বে প্রথম বার খেলছি, এ রকম কখনও মনে হয়নি আমার। সব সময় সাহায্য করে। অধিনায়ক পাশে থাকলে এবং সমস্যা বোঝার চেষ্টা করলে সব কিছু সহজ হয়ে যায়। এমনকী খারাপ খেললেও সমস্যা হয় না। এই বিষয়টা বড় পার্থক্য তৈরি করে দেয়।’’

আকাশদীপ অবশ্য আগেও শুভমনের নেতৃত্ব খেলেছেন। তা নিয়ে বাংলার জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘গত বছর দলীপ ট্রফিতে ওর নেতৃত্বে খেলেছিলাম। ফলে এ বারই প্রথম খেললাম এমন নয়। খুব ঠান্ডা মাথার ছেলে এবং নানা ধারণা রয়েছে ওর। ফলে মাঠে সিদ্ধান্ত নিতে খুবই সুবিধে হয়।’’

ইংল্যান্ডের মাটিতে ভাল পারফরম্যান্সের পর নিজের খেলা ছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবতে চাইছেন না আকাশদীপ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা সরাসরি নির্বাচকদের কাছে গিয়ে কথা বলতে পারি না। তাঁরা সকলেই যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাঁরা যখন মনে করবেন আমাকে দরকার, ঠিক দলে রাখবেন। সেটা যে ফরম্যাটের ক্রিকেটই হোক। আমার কাজ হল পারফর্ম করা এবং নির্বাচকদের ডাকের জন্য অপেক্ষা করা।’’

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে খেলেননি আকাশদীপ। চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারেননি চোটের জন্য। বাকি তিনটি টেস্টেই খেলেছেন বাংলার জোরে বোলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.