দিল্লির জনতা শ্বাস নিতে পারছেন না। যখন পরিবেশকে স্বাভাবিক করতে দেশের রাজধানীকে অর্ধেকের বেশী যানবাহনকে স্তব্ধ করতে হচ্ছে। কলকারখানা, নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হচ্ছে। পড়ুয়াদের অন লাইন ক্লাসে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেই সময় দেশের এক গ্রামীণ প্রান্তের ভয়ঙ্কর দৃশ্য পরিবেশবিদদের দুঃশ্চিতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দূষণ-দৌড়ে পিছিয়ে নেই কলকাতাও।
2/6
কলকাতার দূষণ
কলকাতার একাধিক জায়গায় দূষণের মাত্রা ২০০ ছাড়িয়েছে। দূষণের মাত্রা নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা: তুলনামূলকভাবে যেখানে সবুজ বেশি, সেই ফোর্ট উইলিয়ামে দূষণের মাত্রা ২২৭, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরে দূষণের পরিমাণ ১৮৬। শহরের ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবর এলাকাতেও দূষণ-মাত্রা ১৩৯। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, আজ সকাল ১১টায় দূষণের মাত্রা বালিগঞ্জে ২০৩, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ১৯৬, যাদবপুর ১৮৫, বিধাননগর ১৪১।
3/6
কলকাতার দূষণ
গড়িয়াহাট বাজারে এই মুহূর্তে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ১৮৯। স্বাস বাহিত ধূলিকণা ১৫৪। যা সহন মাত্রার থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি। দৈনিক ৬ টি প্যাসিভ স্মোকিং এর অনুরূপ বিষ বাষ্প।
4/6
আসানসোল দূষণ
কলকাতারও পাশাপাশি দূষণে জেরবার গোটা আসানসোল কয়লা অঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল। আর তারই মধ্যেই এই খনি অঞ্চল লাগোয়া অংশেই অবস্থিত মঙ্গলপুর,ইকরা শিল্প তালুকের বিভিন্ন কলকারখানায় মাত্রাতিরিক্ত দূষণ অনেকটাই দুর্ভোগ বাড়িয়েছে এই শিল্প তালুক এলাকার আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে। ইতিমধ্যেই এই দূষণ রোধের জন্য লাগাতার আন্দোলন করে বেশ কয়েকটি কলকারখানা কে দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগাতে বাধ্য করেছে আসানসোলের রানীগঞ্জ ও জামুড়িয়া এলাকার স্থানীয় গ্রামের মানুষজন।
5/6
দুর্গাপুর দূষণ
পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা দূষণের কারণে দুর্ভোগে থাকে। তবে বর্ষা কালে পরিমাণে অনেকটাই কম থাকে বৃষ্টির কারণে। শীতের শুরুতেই দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি সাধারণ মানুষের টেকা দায় হয়ে পড়েছে।
6/6