দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ব্লকের খড়িবেড়িয়া এলাকার এক হিন্দু পরিবারের জমি অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করে ইমাম আলি নামে এক তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ওই হিন্দু পরিবারের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইমাম আলি ও আজারুদ্দিন। পুলিশ এই বিষয়টিতে পদক্ষেপ না করায় এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী
অগ্নিমিত্রা পাল।
হিন্দু পরিবারের তরফে অভিযোগ, ইমাম আলি নামক এক জেহাদী দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণ বিশ্বাস ও তার পরিবারের একটি জমি অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি শেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়। পরবর্তীকালে আদালত তাদের পক্ষেই রায় দেয়। কিন্তু ইমাম আলি আদালতের রায় না মেনে জোর জবরদস্তি জমিটি দখল করার চেষ্টা করে। গত ২৩ জানুয়ারি হঠাৎ সেই হিন্দু পরিবারটির উপর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আজারুউদ্দিন-এর উপস্থিতিতে আক্রমণ চালানো হয়। মারধর করা হয় পরিবারের সদস্যদের। এই ঘটনায় ওই হিন্দু পরিবারের একজন মহিলা গুরুতর আহত হন। আহত মহিলাকে প্রথমে আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
শনিবার এই হিন্দু পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে যে কিছুই নেই এই ঘটনাই তার প্রমাণ। এই বাংলায় আইনের শাসন নেই, এখানে শাসকের আইন চলে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জিহাদীরা হিন্দু পরিবারের উপর আক্রমণ করলে প্রতিবাদ হবে। আমরা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ হতে দেব না। বাংলাদেশে ইউনুস সরকার যেভাবে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করে তাদের ব্যাবসা বাণিজ্য দখল করার চেষ্টা করছে, ঠিক সেই একই কায়দায় এই বাংলায় মমতা ব্যানার্জি তুষ্টিকরণের রাজনীতির স্বার্থে হিন্দুদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে।”
অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে নির্যাতিত পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসী দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিষ্ণুপুর থানা যান। সেখানে থানার আইসি- র সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়ক।