আবার সেই রাঙাপানিতে ট্রেন দুর্ঘটনা। শুক্রবার রাতে আবারও লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানিতে লাইনচ্যুত হল ট্রেনটি। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ রাঙাপানিতে তেলের ট্যাঙ্কারবাহী ট্রেন ইয়ার্ডে ঢোকে মালগাড়িটি। ট্যাঙ্কার ভর্তি করতে যাওয়ার সময় মালগাড়ির দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে তেলবোঝাই একটি মালগাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের অদূরে রাঙাপানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। দু’টি ওয়াগন রেললাইন থেকে নীচে নেমে যায়। রাঙাপানি স্টেশন লাগোয়া তেলের ইয়ার্ডের ডাউন লাইনে ঘটে দুর্ঘটনাটি। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ অন্য কর্মীরা। ইতিমধ্যেই লাইনচ্যুত বগি দু’টি ওঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, ইয়ার্ডে ঢোকার সময়ই দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে মেন লাইনে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। যার ফলে পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুই আগে ঠিক একই জায়গায় তেলবোঝাই একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়েছিল। একই ভাবে শুক্রবারও মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটল। এ ছাড়াও, এই রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। গত ১৭ জুন আগরতলা থেকে শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল দূরপাল্লার ট্রেনটি। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে আচমকা ওই ট্রেনটিকে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তার মধ্যে অন্তত দু’টি কামরা মালবাহী ট্রেনের। ওই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন মালগাড়ির চালকও। আহত হন ৪১ জনের বেশি। দুর্ঘটনার দিনই রেলের তরফে একাধিক কর্তা অভিযোগ করেছিলেন, মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি। সেই আবহের মধ্যেই ১৫ দিনের ব্যবধানে সেই রাঙাপানিতে ঘটে গেল মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রেলসুরক্ষা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কিশোর বলেন, ‘‘কী সমস্যা হচ্ছে, তা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে৷ তার পরও আমরা তদন্ত করে দেখছি গোটা বিষয়টা।’’