দেড় বছরে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর পর কমেছে সোনার দাম, এখন কি কেনা উচিত?

একটা সময় ১০ গ্রাম সোনার দাম ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৫৫,০০০ টাকার গণ্ডি। পৌঁছে গিয়েছিল ১৮ মাসের সর্বোচ্চ স্তরে। তারপর অবশ্য ৫৩,০০০ টাকার নীচে নেমে এসেছে। সেই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও সোনার ইতিবাচক প্রবণতা এখনও আছে এবং নিম্ন স্তরে সোনা কেনার চাহিদা বেশি হতে পারে। 

বাজার বিশেষজ্ঞ সুগন্ধা সচদেবের বক্তব্য, সম্প্রতি বড়সড় উত্থান হয়ে ভারতীয় বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম সর্বকালীন রেকর্ড ৫৬,১৯১ টাকা এবং বিশ্ব বাজারে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ২,০৭৫ ডলারের অত্যন্ত কাছে চলে এসেছিল। তবে রেকর্ড দরের স্তর ছাপিয়ে যেতে পারেনি। পরবর্তীতে বাজারের মানসিকতা কিছুটা ইতিবাচক হওয়ায় সোনার দামের অল্পবিস্তর হেরফের দেখা যেতে পারে। স্বল্প সময় সোনার দামের উপর রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। তারইমধ্যে নিম্ন স্তরে সোনা ক্রয়ের চাহিদা থাকবে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির জেরে সার্বিকভাবে সোনার ইতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত আছে। আপাতত আমেরিকান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের  নীতি সংক্রান্ত বৈঠকের দিকে নজর আছে বাজারের। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

সোনার দাম নিয়ে আইআইএফএল সিকিউরিটিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্তার বক্তব্য, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতু অবিলম্বে ৫১,৫০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে। জোরদার সমর্থন আছে ৪৯,০০০ টাকায়। ঘরোয়া বাজারে লগ্নিকারীদের দাম কমলে সোনা ক্রয়ের পরামর্শ দিয়ে আইআইএফএল সিকিউরিটিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, যাঁরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা এমসিএক্স সূচকে ৫২,০০০ টাকা থেকে ৫২,৫০০ টাকার স্তরে (১০ গ্রামের দাম) সোনা কিনতে পারেন। যেখানে ‘স্টপ লস’ থাকবে ৪৯,০০০ টাকার স্তরে। সোনার সাধার লগ্নিকারীরা ৫১,৫০০ টাকার স্তরে সোনা কিনতে পারেন। যেখানে ‘স্টপ লস’ ৪৯,০০০ টাকার স্তরে থাকবে। যাঁরা ৫২,০০০ টাকা থেকে ৫২,৫০০ টাকার স্তরে আসরে আসতে চান, তাঁরা দাম কমলেই হলুদ ধাতু কিনতে পারেন। তবে যতক্ষণ ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দাম ৫১,০০০ টাকার স্তরে উপরে থাকবে, ততক্ষণ সেই কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন আইআইএফএল সিকিউরিটিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.