সৎমাকে বাড়িতে পুঁতে রাখার অভিযোগ দুই মেয়ের বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি পাহাড়পুরে

সৎমাকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। দুর্গন্ধ ছড়াতে পড়শিদের সন্দেহ হয়। পুলিশ এসে তদন্ত করতে উঠে আসলো চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমিদার পাড়ার।

জানাগেছে, জমিদার পাড়ায় সৎমা লক্ষ্মী মাঝিকে নিয়ে থাকতো মেয়ে পিংকি মাঝি ও রিংকি মাঝি। পিংকি রাজমিস্ত্রির কাজের শ্রমিক, রিংকি কাপড়ের দোকানের কাজ করে। দুই মেয়ের বাবা অশোক মাঝি সাত বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। অশোকের আগের পক্ষের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মারা যান। বিয়ের কিছুদিন পরে অশোক মাঝির অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। বাড়িতে দুই মেয়ে সৎমা লক্ষ্মী মাঝিকে নিয়ে থাকতেন। পড়শিদের অভিযোগ, দুই মেয়ে সৎমায়ের উপর অত্যাচার করত দীর্ঘদিন ধরে। বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতো। কয়েকদিন ধরে সৎমা লক্ষ্মীকে দেখতে পাচ্ছিলেন না পড়শিরা।

এদিকে দুর্গন্ধ ছড়ায়, এরপরেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পিংকি স্বীকার করে তার সৎমা মারা যায়। এই কারণে বাড়িতে পুঁতে দিয়েছে। পড়শিদের না জানিয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার সকলের সন্দেহ মাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আইসি অর্ঘ্য সরকার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় জনপ্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেনুরঞ্জন সরকার বলেন, “সৎমায়ের উপর অত্যাচার করত, পড়শিরা জানিয়েছেন। আমাদের সন্দেহ দুই মেয়ে খুন করে মাটিতে পুঁতে রেখেছে।” সদর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীম রায় বলেন,”পিংকি স্বীকার করেছে মায়ের মৃতদেহ পুঁতে রেখেছে। এখন তদন্তের পরেই আসল ঘটনা উঠে আসবে।” স্থানীয় বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ সরকার বলেন, “আমাদের সন্দেহ মেয়ে সৎমাকে খুন করে পুঁতে দিয়েছে।” জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাবাহালে বলেন, “নিখোঁজ এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই মহিলার মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.