তৎকাল টিকিটের ‘জালিয়াতি’ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল ভারতীয় রেল। বাধ্যতামূলক করা হল আধার কার্ড। অর্থাৎ, আধার কার্ড থাকলে তবেই যাত্রীরা তৎকাল টিকিট কাটার সুযোগ পাবেন। টিকিট কাটার সময় আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে যাবে ওটিপি। সেই ওটিপি দেওয়ার পরেই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।
তৎকাল টিকিট কাটায় অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। অভিযোগ, অনলাইনে নিমেষে শেষ হয়ে যায় তৎকাল টিকিট। আবার কাউন্টার থেকে তৎকাল টিকিট কাটতে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরতে হয় অনেককেই। অভিযোগের তালিকা এখানেই শেষ নয়। ট্রাভেল এজেন্টের হাতে মোটা টাকা গুঁজে তৎকাল টিকিট নিশ্চিত করার অভিযোগও কম পড়ে না রেলের কাছে। দাবি, বুকিং শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এজেন্টরা একসঙ্গে অনেক তৎকাল টিকিট কেটে রাখেন। পরে তা চড়া দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করেন। রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসি-তে ভুয়ো ইউজ়ার আইডি তৈরি করে দিনের পর দিন তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি করার অভিযোগও রয়েছে। কালোবাজারি রুখতে কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছিল অনেক দিন ধরেই। সমাধান হিসাবে, তৎকাল টিকিট কাটার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করল রেল।
তৎকাল টিকিট কাটার নিয়মের পরিবর্তন সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রেল। জানানো হয়েছে, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট হোক বা অ্যাপ থেকে তৎকাল টিকিট কাটতে হলে যাত্রীদের আধার কার্ড ব্যবহার করতেই হবে। আগামী পয়লা জুলাই থেকে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। অর্থাৎ, আইআরসিটিসি-তে যাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ইউজ়ার আইডির সঙ্গে আধার সংযোগ করাতে হবে তাঁদের। ইউজ়ার আইডির সঙ্গে আধার সংযোগ করা থাকলে তবেই যাত্রীরা তৎকাল টিকিট কাটতে পারবেন। শুধু অনলাইনের ক্ষেত্রে নয়, কাউন্টারে গিয়ে যাঁরা তৎকাল টিকিট কাটেন, তাঁদেরকেও আধার কার্ড বাধ্যতামূলক।
কালোবাজারি রুখতে আরও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে রেল। তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে এজেন্টদের পরিধি সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, তৎকাল টিকিট কাটা শুরু হওয়ার প্রথম আধঘণ্টা সুযোগ পাবেন না এজেন্টরা। এসি কামরা হোক বা নন-এসি— সব ক্ষেত্রেই একই নিষেধাজ্ঞা থাকছে।