করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার এক বছর পেরিয়েছে ১৫ দিন আগে। এ বার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। প্রায় একই রকমের ঘটনা। মালগাড়ির উপরে উঠে গেল এক্সপ্রেস ট্রেনের একাধিক কামরা। করমণ্ডলের ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল একই সময়ে পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া তৃতীয় ট্রেন— বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট ট্রেন। এ বার তেমন কিছু ঘটেনি। সোমবার সকালের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের (সাত যাত্রী এবং দুই রেলকর্মী) মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪০ জন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চলছে তাঁদের চিকিৎসা। উদ্ধারকাজ শেষ হলেও ট্রেন চলাচল পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সোমবারের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা উস্কে দিয়েছে এক বছর আগের করমণ্ডল দুর্ঘটনার স্মৃতি। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৯৬ জন। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১২০০ জন। বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষের তীব্রতা ছিল ভয়াবহ। শোনা যায়, ওই দুর্ঘনায় মৃতদের মধ্যে অনেকেরই নাকি পরিচয় জানা যায়নি আজও।
সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাও একই রকম ভাবে হয়েছে। এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির সংঘর্ষ, মালগাড়ির উপর উঠে যাওয়া এক্সপ্রেসের কামরা— দুই ঘটনার মিল বেশ কিছু ক্ষেত্রেই। সে সময়েও দুর্ঘটনার পর যা যা প্রশ্ন উঠেছিল, এ বারও অনেকাংশে সেই প্রশ্নই উঠছে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। একই সঙ্গে এই দুর্ঘটনার দায় কার, তা নিয়েও শুরু হয়েছে তরজা। কিন্তু সেই সময় ভয়াবহতার যে ‘ছবি’ সামনে এসেছিল, এ বার তা খানিকটা পাল্টেছে। হতাহতের পরিমাণ সে বারের তুলনায় অনেকটাই কম। মনে করা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ট্রেনের গতি কম থাকার কারণেই তা এড়ানো গিয়েছে।
বালেশ্বর দুর্ঘটনার সময় দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মেরেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে সোমবার মালগাড়ির গতি ততটা ছিল না। ‘সিগন্যাল বিভ্রাটে’র কারণে যদি মালগাড়ির চালক ‘কাগুজে অনুমতিপত্র’-এর নিয়ম মেনে না-ও থাকেন, সে ক্ষেত্রেও ট্রেনের গতি ছিল অনেকটাই কম। তবে শেষ পর্যন্ত যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
রেলবোর্ড সকালেই স্বীকার করেছে, ওই লাইনে ছিল না ‘কবচ’। কবচ ভারতে তৈরি একটি প্রযুক্তি। একই লাইনে দু’টি ট্রেন চললে দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করে কবচ। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান জয়া বর্মা সিংহ এনডিটিভি-কে বলেছেন, ‘‘দিল্লি-গুয়াহাটি রুটে সুরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।’’
কখন, কী ভাবে দুর্ঘটনা?
সোমবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গে চলছে বৃষ্টি। কোথাও ঝিরিঝিরি আবার কোথাও মুষলধারে। সোমবার সকাল ৫টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ছাড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। তার পরই ঘটে বিপত্তি। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যে লাইন দিয়ে এক্সপ্রেস চলছিল, সে লাইনেই পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। ধাক্কার জেরে এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা উঠে পড়ে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর। লাইনচ্যুত হয় মালগাড়ির কামরাও।
মোদী-মমতার শোকবার্তা
রেল দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের দ্রুত সুস্থ কামনা করে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেন তিনি। একই সঙ্গে প্রশাসন এবং রেল কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেন। কথা বলেন সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স বার্তায় তিনি একই সঙ্গে লেখেন, ‘‘জেলাশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ হচ্ছে।’’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও শোকপ্রকাশ করেন।
ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়, মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্যের কথাও জানান মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মোদীর পরেই ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করে রেল। রেলমন্ত্রী জানান, মৃতের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে রেলের তরফে। একই সঙ্গে গুরুতর আহতদের আড়াই লক্ষ টাকা করে এবং তুলনামূলক কম জখম হয়েছে যাঁরা, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানান অশ্বিনী।
দুর্ঘটনার জেরে বাতিল একাধিক ট্রেন
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করে রেল। কমপক্ষে পাঁচটি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বদল আনা হয় বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথেও। যাত্রীদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম।
উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রী
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন রেলমন্ত্রী। তার পরই জানান, তিনি আসবেন ঘটনাস্থলে। করমণ্ডল দুর্ঘটনার সময়েও অশ্বিনী পৌঁছে গিয়েছিলেন ওড়িশার বাহানগায়। দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধারকাজের তদারকি করেছিলেন। সেই মতো সোমবার দুপুরেই বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। অন্য দিকে, মমতাও ঠিক করেন ঘটনাস্থলে যাবেন। কিন্তু তিনি সোমবার দুপুরে অভিযোগ করেন, বিমান সঙ্কুলানের অভাবে সকালে উত্তরবঙ্গে পৌঁছতে পারেননি। তাই বিকেলে যাবেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘রেল অনাথ হয়ে গিয়েছে। দেখার কেউ নেই।’’ শুধু রেলের পরিকাঠামোকে কাঠগড়ায় তোলেননি মমতা। তাঁর অভিযোগ, দূরপাল্লার ট্রেনে রাতের সফরও এখন বিভীষিকার।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলমন্ত্রী
দুর্ঘটনাস্থলে সোমবার বিকেলে পৌঁছন রেলমন্ত্রী। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে ঘটনাস্থলে রওনা হন তিনি। সোমবার রেলমন্ত্রী বার বার জোর দেন উদ্ধারকাজের উপর। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি জানান, আপাতত উদ্ধারকাজ চলছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি, এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার কথাও বলেন অশ্বিনী।
মমতার তোপ
উত্তরবঙ্গে পৌঁছেও রেল তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছে তিনি জানান, বন্দে ভারতের নামে শুধুই প্রচার হচ্ছে। আর কিছু হচ্ছে না। চূড়ান্ত অবহেলার মুখে ভারতীয় রেল। রেলকর্মীদের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। মমতার মূল অভিযোগের তির কেন্দ্রীয় সরকার তথা রেল মন্ত্রকের দিকে। তাঁর সুস্পষ্ট অভিযোগ, যাত্রী নিরাপত্তার জন্য পরিকাঠামো সংক্রান্ত উন্নয়নকে ব্রাত্য করে কেবল ‘সাজগোজ’-এ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মমতা অবশ্য দুর্ঘটনাস্থলে যাননি। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানে স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। তাই আমি ওখানে যাচ্ছি না। সকাল থেকে নজর রেখেছিলাম। আমি খবর পাওয়ার পর চাপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানকে পাঠিয়েছিলাম।’’ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। খোঁজ খবরও নেন। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। একই সঙ্গে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন তিনি।
ঘটনাস্থলে রাজ্যপাল, সুকান্ত
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আহতদের সেরা চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। এর পর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এটা দোষারোপের সময় নয়। পদক্ষেপ করার সময়।’’ রেল দুর্ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। এই দুর্ঘটনাকে ‘মানুষের ভুল’ বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কী প্রকারের হিউমান এরর, সেটা তদন্ত করে বার করতে হবে।’’
রেল-রাজ্যের হেল্পডেস্ক
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় যাতে যাত্রীরা কোনও রকমের বিভ্রান্তির শিকার না হন, সেই কারণে রেলের তরফে হেল্পডেস্ক খোলা হয়। চালু করা হয় হেল্পডেস্ক নম্বর। শিয়ালদহ, গুয়াহাটি, কাটিয়ার, নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং লামডিং স্টেশনে খোলা হয় হেল্পডেস্ক। প্রদান করা হয় হেল্পলাইন নম্বরও।
রেলের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও শিয়ালদহ স্টেশনে হেল্পডেস্ক চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। উত্তরবঙ্গে পৌঁছে মমতা জানান, শিয়ালদহ স্টেশনেই হেল্পডেস্কটি খোলা হচ্ছে। সোমবার রাত ১২টা থেকে তা চালু হয়ে যাবে। সেই ডেস্কের দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও দায়িত্বে থাকার কথা বলা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি শিয়ালদহে পৌঁছনোর পর যাত্রীরা যাতে স্বচ্ছন্দে নিজেদের বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট, মাঝারি ও বড় সরকারি বাসের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে স্টেশনে।
দুর্ঘটনার দায় কার?
সোমবারের দুর্ঘটনার দায় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলকর্মীদের একাংশের মতে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি দোষ ছিল তাঁর? রেল সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর থেকেই রাঙাপানি এবং চটের হাট অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বিকল ছিল। ওই অংশে তাই ট্রেন চলাচল হচ্ছিল কাগুজে সিগন্যালে। অর্থাৎ স্টেশন মাস্টারের দেওয়া কাগুজে অনুমতি রেলের পরিভাষায় যাকে বলে ‘পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট’ (পিএলসিটি) নিয়েই ট্রেন চালাচ্ছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং মালগাড়ির চালক। রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের দেওয়া কাগুজে অনুমতি বা ‘টিএ ৯১২’ ফর্মে উল্লেখ ছিল কোন কোন সিগন্যাল ‘ভাঙতে’ পারবেন চালক। এমনকি, কোথা থেকে কোন অবধি এই ‘অনুমতি’ বহাল থাকবে, তারও উল্লেখ ছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘার পাশাপাশি মালগাড়ির চালক ও গার্ডের কাছেও ছিল সেই ছাড়পত্র।
সাধারণত, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ওই নির্দেশের ভিত্তিতেই ট্রেন চালিয়ে থাকেন চালক। সিগন্যাল লাল থাকলেও নিয়ন্ত্রিত গতিতে ট্রেন চালাতে পারেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, কাগুজে সিগন্যালে ট্রেন চালানোর সময় দিনের বেলা দৃশ্যমানতা ঠিক থাকলে প্রতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালানো যায়। একই সঙ্গে আগের গাড়ির সঙ্গে অন্তত ১৫ মিনিটের দূরত্বে পরের গাড়িকে যেতে হবে। রাতের বেলা বা কুয়াশা থাকলে ওই গতি ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় রাখতে হবে। সোমবার সকালের দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, কাগুজে সিগন্যাল পেয়েও নিয়ম মেনেই কি মালগাড়ির চালক ট্রেন চালাচ্ছিলেন? উঠছে মালগাড়ির গতি নিয়েও প্রশ্ন।