ভূপতিনগর থানায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল, বেরোতে বেরোতেই পুলিশ খবর পায় হামলার!

২০২২ সালের বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে অভিযান চালানো হবে। এ জন্য ভূপতিনগর থানায় এনআইএ-র একটি দল অনুমতি নিতে যায়। পুলিশের দাবি, তাদের পক্ষ থেকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু তার মধ্যেই পুলিশ খবর পায় এনআইএ-র তদন্তকারীরা আক্রমণের মুখে পড়েছে গ্রামে। অর্থাৎ, পুলিশের দাবি, তাদের জানানোর আগেই অভিযান শুরু করে দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

শনিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। ২০২২ সালের বিস্ফোরণের মামলায় অভিযুক্তদের আটক করতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার মুখে পড়তে হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। তাঁদের গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। সেখান থেকে কোনও ক্রমে বেরিয়ে যায় এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের দুই নেতাকে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুলিশকে না-জানিয়ে মধ্যরাতে তদন্ত করতে গেলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। বস্তুত, ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থার সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী।

ভূপতিনগরে এনআইএ অভিযান নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আজ খুব সকালে ভূপতিনগর থানায় একটি দল এসেছিল। থানার তরফ থেকে সমস্ত রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই দলটি যখন থানা থেকে বেরোচ্ছিল, সেই সময় খবর আসে যে এনআইএ-র আরও কয়েকটি দল আগে থেকেই ভূপতিনগরের গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল। তারা দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। সেখানেই ওই সময় উত্তেজনা ছড়ায়।’’ পুলিশ সুপার জানান, একটি গাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক জন অল্প আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার তদন্তও শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার আরও জানান, হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।

অন্য দিকে, ভূপতিনগরকাণ্ডে ধৃত বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে শনিবার বিকেলেই কলকাতার বিচার ভবনে হাজির করায় এনআইএ। তাঁদের পাঁচ দিনের হেফাজতের আবেদন করা হয়। এনআইএ আদালতে জানিয়েছে, অভিযানে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চারটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.