ট্রাম্পের রোষে আন্তর্জাতিক অপরাধ কোর্ট, আমেরিকার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তের পরেই জারি একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোষের মুখে এ বার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। আমেরিকার বিরুদ্ধে ওই আদালতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিছু সিদ্ধান্ত আমেরিকার ঘনিষ্ঠ ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধেও গিয়েছে। এর পরেই আন্তর্জাতিক ওই আদালতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি আইসিসি-র উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় ট্রাম্প স্বাক্ষর করার পর হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আইসিসি-র তরফে এখনও কোনও জবাব আসেনি।

আইসিসি একটি আন্তঃসরকারি এবং আন্তর্জাতিক আদালত। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালত কিছু দিন আগে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বৈঠক করেন ট্রাম্পের সঙ্গে। তার পরেই আইসিসি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে হেঁটেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে দাবি, আইসিসি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। আমেরিকা এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইজ়রায়েলকে ‘টার্গেট’ করে একাধিক অবৈধ ও ভিত্তিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আইসিস-র সকল আধিকারিক, কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারের সকল সদস্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকায় তাঁদের ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি যুদ্ধ সংক্রান্ত অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া চলেছিল আইসিসি-তে। সেখানেই আদালতের একাধিক সিদ্ধান্ত আমেরিকা এবং ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিচারপ্রক্রিয়ায় যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের উপরেও ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

আমেরিকা বা ইজ়রায়েল, কোনও দেশই সরাসরি আইসিসি-র সদস্য নয়। প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প আইসিসি-র কয়েক জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক এবং ভিসা সংক্রান্ত কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এ বার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.