অবশেষে স্বস্তি! আবহাওয়ার খানিক উন্নতির সুযোগে উত্তর সিকিমে আটকে থাকা বেশির ভাগ পর্যটককে উদ্ধার করতে পেরেছে প্রশাসন। সিকিম প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, লাচুংয়ে আটকে থাকা ১১৭৮ জন পর্যটককেই মঙ্গলবার বার করে আনা গিয়েছে। অবশ্য আরও ৯১ জন পর্যটক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য আটকে আছেন। বুধবারের মধ্যে তাঁদের সকলকেই উদ্ধার করা যাবে বলে বিশ্বাস প্রশাসনের।
আবহাওয়ার খানিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সোমবার উত্তর সিকিমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সোমবার মোট ন’জনকে উদ্ধার করা হয় টুং থেকে। টানা বৃষ্টি এবং বার বার ধসের কারণে টানা উদ্ধারকাজ না-চালিয়ে দফায় দফায় কাজ করছিলেন কর্মীরা।
গত ১১ জুন থেকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক পথ। ডিকচু-সংকলন-টুং, মংগন-সংকলন, সিংথাম-রাংরাং এবং রাংরাং-টুং সহ উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিম এবং জংগু অঞ্চলে প্রাথমিক সংযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সংকলন সেতু। সেই সেতুই ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠে। তার উপর খারাপ আবহাওয়ার দরুণ আটকে থাকা পর্যটকদের বার করে আনার সমস্যা তৈরি হয়। তবে সোমবার থেকে যে পর্যটকেরা চুংথাংয়ে আটকে ছিলেন, তাঁদের দুপুর ১২টা নাগাদ উদ্ধার করা হয়। যাতে নির্বিঘ্নে সমস্ত পর্যটককে উদ্ধার করে আনা যায়, সে জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটন এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর একত্রে ঝাঁপিয়েছে। মঙ্গলবার মংগন থেকে প্রায় মিনিট ৪৫ হেঁটে নিরাপদ জায়গায় যেতে পেরেছেন ১০৬০ জন পর্যটক। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে যত পর্যটক আটকে রয়েছেন, সবাইকে নিরাপদে বার করে আনতে সচেষ্ট সরকার।