খড়্গপুরের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থেকে ধৃত ৫

 রেল শহর খড়্গপুরের গোলবাজারের একটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ২ সদস্যকে পাকড়াও করলো পুলিশ।

শুক্রবার সকালে ডাকাতি করার পর ডাকাত দলটি খড়্গপুর শহর থেকে বেরিয়ে কলকাতা-মুম্বাই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লোধাশুলির দিকে রওনা দেয়। ডাকাত দলকে ধাওয়া করে খড়গপুর থানার পুলিশ। ফেকো মোড়ের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে বাঁদিকে ঢুকে পড়ে ডাকাত দলের গাড়িটি। গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িশার দিকে চম্পট দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিল তারা। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ গোপন সূত্রে সেই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত রান্টুয়া এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে দেওয়া হয়। একটি সাদা রঙের স্করপিও গাড়িতে করে ডাকাত দলটি রান্টুয়া এলাকায় পৌঁছতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী দেখে গাড়ি ছেড়ে দৌড় লাগায় তারা। তাদের ধরার জন্য ধাওয়া করে পুলিশ। বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত পাইকামবি এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে ধান জমি থেকে ডাকাত দলের ২ সদস্যকে পুলিশ পাকড়াও করে।

পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্করপিও গাড়িতে মোট ৫-৬ জন ছিল। পুলিশের ব্যারিকেট দেখেই তারা গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ২ জনকে পাকড়াও করা হলেও বাকি ৩ জনের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে ‌বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ। গোপীবল্লভপুর থানা সহ ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা থেকে বিশাল সংখ্যক পুলিশ দিয়ে চলছে এই তল্লাশি। পরে তল্লাশি চালিয়ে আরো তিন জনকে ধরা হয়। ঘটনায় জড়িত মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। গ্ৰেপ্তার হ‌ওয়া পাঁচ জনকে ঝাড়গ্ৰাম জেলা পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) কল্যাণ সরকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) উত্তম ঘোষের নেতৃত্বাধীন পুলিশ টিম ডাকাত দলের ২জনকে গ্রেফতারের করেছে। বাকিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছিল, পরে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.