ফেনেরবাচের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর প্রকাশ্যে তুরস্কের ফুটবলের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সরব হয়েছিলেন তুরস্কের বিষাক্ত পরিবেশ নিয়ে। সেই কথা যে সত্যি, তা প্রকাশ্যে এল এ বার। সক্রিয় ভাবে জুয়া খেলার জন্য ৩৭১ জন রেফারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তুরস্কের ফুটবল সংস্থা। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে চলেছে।
তুরস্কের ফুটবল সংস্থার সভাপতি ইব্রাহিম হাসিয়োসমানোগ্লু জানিয়েছেন, তদন্তের পর দেখা গিয়েছে দেশের ৫৭১ জন সক্রিয় রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনই জুয়া খেলেছেন। ১৫২ জন সক্রিয় ভাবে জুয়া খেলে চলেছেন। তিনি বলেছেন, “ফুটবল সংস্থা হিসাবে আমরা আগে নিজেদের উঠোন পরিষ্কার শুরু করেছি। যাদের জুয়ার অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে সাত জন শীর্ষস্থানীয় রেফারি, ১৫ জন শীর্ষস্থানীয় সহকারী, ৩৬ জন সাধারণ রেফারি এবং ৯৪ জন সাধারণ সহকারির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।”
তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু অবাক করা তথ্য। এক রেফারি নাকি ১৮ হাজার বার জুয়া খেলেছেন। ৪২ জন এমন রেফারি রয়েছেন যাঁরা ১০০০ বারের বেশি জুয়া খেলেছেন। এই হিসাব গত পাঁচ বছরের। তুরস্কের ক্রীড়া আইন এবং তুরস্কের ফুটবল সংস্থার আইন অনুযায়ী, ম্যাচ পরিচালকেরা কখনওই জুয়া খেলতে পারেন না। দোষী সাব্যস্ত হলে এই রেফারিদের তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ফুটবল সংক্রান্ত সকল কাজকর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।
ফেনেরবাচের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তুরস্কের ফুটবলের বিষাক্ত পরিবেশ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মোরিনহো। বিভিন্ন ম্যাচে একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেখে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন রেফারিদের দায়বদ্ধতা নিয়ে। বলেছিলেন, “কোচ হিসাবে ২৫ বছরে কোনও দিন এই জিনিস দেখিনি। বিষাক্ত পরিবেশ। এত শক্তিশালী একটা দুর্নীতিকে কোনও ক্লাব ধ্বংস করতে পারবে না।” দেখা গেল, মোরিনহোর কথাই সত্যি।

