মোটা অঙ্কের মুনাফার আশায় লগ্নি ব্যবসায় নেমে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন দেশের হাজার হাজার মানুষ! দেশের ব়ড় শহরগুলিতে গত ছ’মাসে এ রকম ভূরি ভূরি ঘটনা ঘটেছে। প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ডুবেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই জানাল অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
শাহের মন্ত্রকের সাইবার শাখা জানিয়েছে, দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মোট প্রতারণার ঘটনার প্রায় ৬৫ শতাংশ। টাকা সবচেয়ে বেশি ডুবেছে বেঙ্গালুরুতে। মোট ক্ষতির প্রায় ২৬.৩৮ শতাংশ।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগের বয়স ৩০-৬০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, যাঁরা মূলত চাকরিজীবী। প্রবীণদের সংখ্যাও কম নয়। প্রায় ৮.৬২ শতাংশ (সব মিলিয়ে ২,৮২৯ জন)। সব তথ্য খতিয়ে একটি প্রবণতা চোখে পড়েছে তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখেছেন, যাঁরা আর্থিক ভাবে সক্রিয়, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের কথা ভাবেন, মূলত তাঁদেরই নিশানা করা হয়েছে।
রিপোর্টের তথ্য বলছে, প্রতারিতেরা গড়ে ৫১.৩৮ লক্ষ টাকা করে খুইয়েছেন। যার অর্থ, এই প্রতারণা বিক্ষিপ্ত ভাবে হয়নি। সবটাই সংগঠিত ভাবে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রিপোর্টে দাবি, মূলত হোয়াট্সঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণাচক্র চলেছে। এক্স হ্যান্ডল বা লিঙ্কডিনের মতো সমাজমাধ্যমকেও ব্যবহার করেছেন প্রতারকেরা।

