পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারত যে অভিযান করেছে, তা ‘ট্রেলার মাত্র’। প্রয়োজনে পুরো ছবিই দেখিয়ে দেওয়া হবে তাদের। গুজরাতের ভুজে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে গিয়ে শুক্রবার এই কথাই বললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি এ-ও জানালেন যে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারত ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। আর তাতে রাতের অন্ধকারে দিন দেখেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে দেশ বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে গিয়েছিলেন রাজনাথ। শুক্রবার তিনি ভুজে বায়ুসেনাঘাঁটিতে গেলেন। সেখানে গিয়েই নিশ্চিত করলেন যে, সিঁদুর অভিযানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে রাতের অন্ধকারে দিনের আলো দেখিয়ে দিয়েছে।’’ তার পরেই রাজনাথ বলেন, ‘‘আমরা যা করেছি, তা ট্রেলার ছিল। দরকার পড়লে পুরো ছবি দেখিয়ে দেব। নতুন ভারতের নয়া বাস্তব (নিউ নর্ম্যাল) হল সন্ত্রাসবাদে আঘাত হেনে তা নির্মূল করা।’’
ভুজে দাঁড়িয়ে সিঁদুর অভিযানের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন রাজনাথ। এর পরেই পাকিস্তানকে আইএমএফ ঋণ দেওয়ার প্রসঙ্গ আসে তাঁর ভাষণে। তিনি বলেন, ‘‘পাক সরকার মুরিদ এবং বহাওয়ালপুরের দুই জঙ্গি সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বা এবং জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আইএমএফ থেকে পাওয়া অর্থের একটা বড় অংশ অবশ্যই ওই ঘাঁটি পুনর্নিমাণের জন্য ব্যবহার করা হবে। আইএমএফ সন্ত্রাসবাদে পরোক্ষে অনুদান দিচ্ছে বলে কি ধরে নেওয়া হবে না?’’ পাকিস্তানকে অনুদান দেওয়ার বিষয়টি আইএমকে পুনর্বিবেচনা করার কথাও বলেছেন তিনি। গত ৯ মে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। সেখানেই ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার বিরোধিতা করে নয়াদিল্লি। ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে। কারণ, ভোটাভুটিতে বিরোধিতার কোনও সুযোগ থাকে না। যদিও শেষ পর্যন্ত আইএমএফ পাকিস্তানকে ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই ঋণের টাকা দিয়ে জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করা হবে বলে অভিযোগ রাজনাথের।