‘থ্যাংক লেস জব’, কঠিন সময়ে নার্সদের বিশেষ সম্মান হাসপাতালের

নার্সদের বিশেষ সম্মান দিল পোর্ট ট্রাস্ট হাসপাতাল। নার্স দিবস উপলক্ষ্যে প্রত্যেক নার্সকে বিশেষ সম্মান ও পুরস্কার দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আধুনিক নার্সিংয়ের জননী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। আজ তাঁর জন্মদিন। আমাদের প্রত্যেকটি নার্স তাঁর মতোই লড়াই করছে আজকের এই দুঃসময়ে। তাঁদের কাজকে সম্মান জানাতেই আজ আমরা ওঁদের বিশেষ সম্মান জানিয়েছি। কিছু পুরস্কার আমরা ওঁদের হাতে তুলে দিয়েছি’।

১২মে, এই দিনটি পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস হিসেবে। প্রতি বছর ১২ মে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নার্সদের শ্রদ্ধা জানাতে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। চলতি বছর বিশ্ব সেবিকা দিবসের থিম হল “ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এক দৃষ্টি।”

শুধু তাই নয়, বর্তমান মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নার্সরা সবার উপরে। তাঁরা রোগীদের প্রাথমিক যত্ন এবং চিকিৎসা সরবরাহ করে। তাঁরাই সময়মতো রোগীদের গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নার্সদের সংখ্যা বিশ্বের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর অর্ধেকেরও বেশি।
ইংল্যান্ডের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল যেমন ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন হেড নার্স। ইংরেজ-তুর্কি নির্বিশেষে দুই দেশের আহত মুমূর্ষু সৈন্যদেরই দিনরাত ধরে প্রাণপাত করে সেবা করতেন তিনি। গভীর রাতে হাসপাতালের করিডোরে রোগীদের প্রয়োজন দেখতে হাতে মোমবাতি নিয়ে তিনি হেঁটে বেড়াতেন। তাঁদের এই অসমসাহসীকতার কাজকে কুর্নিশ জানাতে ১৯৬৫ সালের ১২ মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ নার্সেস প্রথমবার পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। সেই থেকে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে এই বিশেষ দিনটি।

এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে যে সব রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।

মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যে রাজ্যগুলি থেকে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড -১৯ টি মামলার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে তাদের করোনার গ্রাফে বক্ররেখা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে করোনার গ্রাফ আবার মালভূমির আকার ধারণ করেছ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশের ৮২.৭৫ শতাংশ (১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৭ হাজার ৩০৪ জন) করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। অ্য়াক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৬.১৬ শতাংশ (৩৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২২১ জন)। ভারতে আগামী কয়েক দিনে করোনার সংক্রমণ কমবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে এও জানানো হয়েছে, ৭ মে ভারতে ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে ৯মে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন আক্রান্ত হন। গত ২ দিন আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। ১০ মে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ও ১১ মে ৩ বক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

রাজ্যগুলি আলাদা আলাদা করে স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। কোভিড ম্যানেজমেন্ট ও কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ১৩টি রাজ্যে ১ লক্ষ অ্যাক্টিভ মামলা রয়েছে। ৬টি রাজ্যে রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি অ্যাক্টিভ কেস। আর ১৭ টি রাজ্যে ৫০ হাজারের কম অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। ২৬টি রাজ্যে ১৫ শতাংশ পজিটিভিটি রেট রয়েছে। ৬টি রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। মাত্র ৪টি রাজ্যে ৫ শতাংশের কম পজিটিভিটি রেট। ৯টি রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ২৫ শতাংশের উপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.