Panagarh Accident: ‘ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি’,পানাগড়কাণ্ডে নয়া মোড়!

 পানাগড়কাণ্ডে নয়া মোড়! ইভটিজিংয়ের অভিযোগ খারিজ করে দিল পুলিস। ‘তরুণী গাড়িই অন্য গাড়িকে ধাওয়া করছিল’. চাঞ্চল্যকর দাবি আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিস কমিশনার সুনীল চৌধুরীর। প্রকাশ্যে আনা হল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ।

পুলিস কমিশনার বলেন, ‘ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। দুই গাড়ির ওভারটেক করার নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। তারপর পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে আছে।  যার কথা বলা হচ্ছে, যে গাড়িটি ধাওয়া করেছিল, সেটা আদৌও ঘটনা হয়নি। প্রথমে দুটি গাড়ির মধ্যে হালকা সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই তরুণীর গাড়িই অন্য গাড়িকে ধাওয়া করছিল’। তিনি জানান, ‘মৃতার সঙ্গে আরও যাত্রী ছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাতে দুটি গাড়ির মধ্যে রেষারেষির কথা বলা আছে’। 

ঘটনাটি ঠিক কী? রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ের রাস্তায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চন্দননগরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। চন্দননগর থেকে একটি কাজে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, কয়েকজন মত্ত যুবক গাড়ি করে এসে ওই তরুণীকে কটুক্তি করতে করতে পানাগড় পর্যন্ত ধাওয়া করে। শেষে যখন পানাগড় বাজারের তাঁরা গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন, দ্রুত রাইসমিল রোডে গাড়িটি ঢুকিয়ে দেন ওই তরুণী। এরপরই গাড়িটি উল্টে যায়।

এদিকে গাড়িতে সুতন্দ্রার সঙ্গে ছিলেন চার সহকর্মী ও চালক। এক সহকর্মী বলেন, প্রথমে আমাদের গাড়িটাকে স্পর্শ করে। স্বাভাবিক আমাদের গাড়ি ওদের পিছনে যাবে, যেহেতু আমাদের গাড়িতে মেয়ে আছে’। আমরাও সেইভাবেই গিয়েছিলাম। কটুক্তি করা হয়েছিল? ‘হ্যাঁ, করেছিল’। চালক জানিয়েছেন, ‘আমরা পেট্রল পাম্প পর্যন্ত ঠিকঠাক এলাম। কে ধাওয়া করছে, না করছে বুঝতে পারিনি। কাঁচ নামাল। আমাকে হাত দেখিয়ে সাইড দিল। আমি যখন এগিয়ে যেতে গেলাম, তখনই ডান দিকে প্রথম মারল। গাড়ি ব্যাক করে আবার আমাদের পিছু নিল। বাঁ দিক থেকে ওভারটেক করে কোনাকুনি মারে। টাওয়ার ব্লাস্ট করে, গাড়িটাও পাল্টি খেয়ে যায়’।

পুলিস সূত্রে খবর, চন্দননগরের নাড়ুয়া রায় পাড়ায় বাড়ি সুতন্দ্রা। বাবা সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় রেলের ঠিকাদার ছিলেন। বছর খানেক মৃত্যু তাঁর। এরপর সংসারের হাল ধরেছিলেন মেয়ে-ই। সুতন্দ্রার মা বলেন, ‘বিহারে কাজ করত, সেখানে নিরাপত্তা ছিল। পশ্চিমবঙ্গে নিরাপত্তা নেই। যে গাড়িটা করছিল, সেই গাড়িটাই আটক করেছে। আমরা দেহ নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। আমাদের কাছে খবর গেল, যাঁরা নির্দোষ, যাঁরা গাড়িতে ছিল আমার মেয়ের সঙ্গে, তাঁদেরকে আটক করে রেখে দিয়েছে’। সঙ্গে দাবি, পুলিস কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে। প্রতিবার একই ঘটনা হচ্ছে। যতবার এই ধরণের ঘটনা হচ্ছে, আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.