জমে উঠেছে আইপিএলে। কলকাতা নাইট রাইডার্স দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে ঢুকে পড়েছে প্লে-অফের দৌড়ে। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৪৮টি ম্যাচ হয়েছে। বাকি আর ২২টি ম্যাচ। এখনও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ রয়েছে ১০ দলেরই। কয়েকটি দলের সুযোগ অনেকটা বেশি। কয়েকটি দলের সুযোগ কম থাকলেও খাতায়-কলমে তারাও উঠতে পারে প্লে-অফে। তবে প্রত্যেকের সামনে আলাদা আলাদা অঙ্ক রয়েছে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১০ ম্যাচ ১৪ পয়েন্ট)— পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছেন বিরাট কোহলিরা। বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে দু’টি জিততে পারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে তাঁদের। তবে কোহলিদের সুযোগ রয়েছে প্রথম দু’টি দলের মধ্যে শেষ করার। তার জন্য তিনটি ম্যাচ জিততে হবে বেঙ্গালুরুকে। ১৬ পয়েন্টে শেষ করলেও প্লে-ওফে ওঠার সুযোগ থাকবে কোহলিদের।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট)— শেষ পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে মুম্বই। দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্যেরা। বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত তাঁদের। মুম্বই যদি তাদের বাকি চারটি ম্যাচই জেতে তা হলে প্রথম দুই দলের মধ্যেও শেষ করতে পারে তারা। বাকি চারটির মধ্যে দু’টি জিতলেও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে মুম্বইয়ের।
গুজরাত টাইটান্স (৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট)— গুজরাত প্রথম দুই দলের থেকে একটি ম্যাচ কম খেলেছে। ফলে শুভমন গিলেরাও ভাল জায়গায় রয়েছেন। বাকি পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতলেই প্লে-অফে উঠে যাবে গুজরাত। দু’টি জিতলেও সুযোগ থাকবে শুভমনদের। অন্তত চারটি জিতলে প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকবে গুজরাত। হাতে এক ম্যাচ বেশি থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি তাদের।
দিল্লি ক্যাপিটালস (১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট)— পর পর দু’ম্যাচ হারলেও দিল্লি এখনও ভাল জায়গায় রয়েছে। বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতলেই প্লে-অফে উঠবে তারা। দু’টি জিতলেও সুযোগ থাকবে প্লে-অফের। যদি বাকি চারটি ম্যাচই দিল্লি জেতে তা হলে প্রথম দুই দলের মধ্যে শেষ করার সুযোগও তাদের আছে।
পঞ্জাব কিংস (৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট)— গত বারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারদের বাকি আরও পাঁচটি ম্যাচ। তার মধ্যে চারটি জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত শ্রেয়সদের। তিনটি জিতলেও প্রথম চার দলের মধ্যে শেষ করার সুযোগ থাকবে পঞ্জাবের।
লখনউ সুপার জায়ান্টস (১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট)— চারটি ম্যাচ বাকি ঋষভ পন্থদের। তাঁরা যদি সেই চারটি ম্যাচই জেতেন তা হলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে লখনউয়ের। তিনটি ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে পন্থদের।
কলকাতা নাইট রাইডার্স (১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট)— কেকেআর সর্বাধিক ১৭ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। তার জন্য বাকি চারটি ম্যাচই জিততে হবে তাদের। একমাত্র তখনই প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে অজিঙ্ক রাহানেদের। একটি ম্যাচ হারলে তখন বাকি সব দলের ম্যাচের উপর নির্ভর করতে হবে রাহানেদের।
রাজস্থান রয়্যালস (১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)— বাস্তবে সুযোগ কম থাকলেও খাতায়-কলমে এখনও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ রয়েছে রাজস্থানের। তার জন্য বাকি চারটি ম্যাচই জিততে হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে ১৪ পয়েন্টে শেষ করবে তারা। তার পরেও রাজস্থানকে বাকি সব দলের খেলার উপর নির্ভর করতে হবে।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)— রাজস্থান ও হায়দরাবাদের পয়েন্ট সমান হলেও হায়দরাবাদ এক ম্যাচ কম খেলেছে। অর্থাৎ, তাদের প্লে-অফে ওঠার সুযোগ বেশি। বাকি পাঁচটি ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্ট হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে প্যাট কামিন্সদের। তবে একটি ম্যাচ হারলে অনেক জটিল অঙ্কের উপর নির্ভর করতে হবে তাঁদের।
চেন্নাই সুপার কিংস (৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট)— বাস্তবে সবচেয়ে কম সুযোগ রয়েছে চেন্নাইয়ের। তবে খাতায়-কলমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা এখনও আইপিএল থেকে বিদায় নেননি। বাকি পাঁচটি ম্যাচ জিতলে তাঁরা ১৪ পয়েন্টে পৌঁছবেন। তার পরে বাকি ন’টি দলের উপর নির্ভর করতে হবে তাঁদের। সেই অঙ্ক বড় জটিল।