‘পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল, আমি থামিয়েছি’! ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতিতে ফের কৃতিত্ব দাবি ট্রাম্পের

তিনি ‘শান্তির দূত’! দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বার বার এমনই দাবি করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলা যুদ্ধ বা সংঘাতের অবসান করতে তিনিই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই তালিকায় রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘাতও। ট্রাম্পের দাবি, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তা থামিয়েছেন তিনিই! যদিও ভারত এ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কথা স্বীকার করেনি। তবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব আবার এক বার দাবি করলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ভারত এবং পাকিস্তান সম্ভবত পারমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমেরিকা তা হতে দেয়নি। সমস্যার সমাধান করেছে।

শুধু ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ছ’মাসে ছ’টি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন, এমনই দাবি করলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘গত ছ’মাসে আমি ছ’টি যুদ্ধের সমাধান করেছি। এতে আমি খুব গর্বিত। শুধু সমস্যার সমাধান করিনি, শান্তি স্থাপন করেছি।’’ উল্লেখ্য, যুদ্ধ থামানো এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ট্রাম্প বার বার দাবি করেছেন, ‘‘আমি মনে করি আমার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।’’ তাঁর এই দাবি সমর্থনও করেছেন বেশ কয়েক জন বিশ্বনেতাও।

তার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট টেনে আনেন ভারত-পাকিস্তানের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা, ভারত ও পাকিস্তানের দিকে তাকান। উড়ন্ত যুদ্ধবিমানকে গুলি করে মাটিতে নামানো হয়েছিল। অন্তত ছয় বা সাতটা। তারা সম্ভবত পারমাণবিক যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আমরা তার সমাধান করেছি।’’

ট্রাম্পের এখন লক্ষ্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতে ইতি টানা। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প। ওই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বার হয় কি না, সে দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন মহল। তবে ট্রাম্পের মতে, আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে! আলাস্কার বৈঠকে আগে পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, দ্বিতীয় বৈঠকই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প আশা করছেন, ওই বৈঠকে পুতিনের সঙ্গে এক টেবিলে থাকতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিও। তবে সেই বৈঠক কবে হবে, আদৌ তা হবে কি না— তা অনেকটা নির্ভর করছে শুক্রবার আলাস্কার বৈঠকের উপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.