‘নেতৃত্ব দিতে রাজি’, শুভমন টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পরেই মন্তব্য জাডেজার, বার্তা কি গম্ভীরকেই?

রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর ভারতের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসাবে যাঁদের নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছিল, সেখানে কোথাও ছিল না তাঁর নাম। প্রত্যাশামতোই অধিনায়ক হন শুভমন গিল। তিনি নেতৃত্ব দিতে নামার আগে হঠাৎই জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। জানালেন, ভবিষ্যতে টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব এলে তিনি রাজি।

দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়ক নিয়োগ করার লক্ষ্যেই শুভমনকে বেছে নিয়েছে বোর্ড। আগামী বেশ কয়েক বছর তাঁকে নেতা হিসাবে দেখা যেতে পারে। সেখানে ৩৬ বছরের জাডেজা কী ভাবে নেতৃত্ব পেতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তার উত্তর অবশ্য জাডেজা দেননি।

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব অনুষ্ঠানে এসেছিলেন জাডেজা। সেখানেই অধিনায়কত্বের প্রশ্নে তিনি বলেন, “অবশ্যই নেতৃত্ব দিতে রাজি। গত কয়েক বছর ধরে আমি অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছি। প্রত্যেকের মানসিকতা জানি। ক্রিকেটারেরা কী চায় বা তাদের মানসিকতা কী সেটাও জানি।”

জাডেজার কথায় উঠে এসেছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রসঙ্গও। তিনি বলেছেন, “কী ভাবে দলকে চালাতে চায় সে ব্যাপারে প্রত্যেক অধিনায়কের মানসিকতা আলাদা। আমি এমএস ধোনির অধীনে প্রতিটা ফরম্যাটে খেলেছি। ওর ভাবনাচিন্তা খুব সহজ। যদি ও মনে করে কোনও ব্যাটার একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলেই শট খেলে, তা হলে সেখানেই ফিল্ডার রেখে দেবে।”

উল্লেখ্য, রোহিত সরে যাওয়ার পর অশ্বিনই প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটার যিনি জাডেজাকে অধিনায়ক করার দাবি তুলেছিলেন। অশ্বিন বলেছিলেন, “আমরা জাডেজার কথা কেন ভুলে যাচ্ছি? যদি নতুন কাউকে অধিনায়ক নিয়োগ করতে হয়, তা হলে দু’বছর তাঁকে অভিজ্ঞ কোনও ক্রিকেটারের অধীনে খেলিয়ে শিখিয়ে নেওয়া উচিত। তা হলে সে-ও নেতৃত্ব দিতে শিখে যাবে।

জাডেজা মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া বেশ সহজ। বলেছেন, “বোলার অনুযায়ী দু’-তিন জন ফিল্ডারকে অদল-বদল করতে হয়। পুরো ফিল্ডিং বদলানোর দরকারই পড়ে না। টেস্টে সহজ কিন্তু নির্ণায়ক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আইপিএল বা টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কঠিন কাজ নয়। ওখানে প্রতিটা বলই এক-একটা পরীক্ষা।”

৮০টি টেস্ট খেলা জাডেজা জানিয়েছেন, কোনও দিন এই ফরম্যাটে খেলবেন এটা ভাবতেই পারেননি। ভারতের অলরাউন্ডারের কথায়, “দেশের হয়ে খেলা শুরু করার পর কখনও ভাবিনি এতগুলো টেস্ট খেলব। ভাবতাম সাদা বলের ক্রিকেটই আমার আসল জায়গা। রঙিন জার্সি, তার পিঠে লেখা সংখ্যা এবং নাম দেখে লোভ হত। কৃত্রিম আলোয় খেলতেও চাইতাম। টেস্ট ক্রিকেটে তখন সে সব ছিল না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.