রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তাণ্ডব চালালো বুলবুল

 বুলবুলের দাপটে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। রাজ্যজুড়ে প্রায় এক লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কনট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ড্রোন দিয়ে চালানো হয়েছে নজরদারি।  শনিবার রাত ৮টা নাগাদ মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে বুলবুল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে উপকূলবর্তী জেলাগুলি তাণ্ডব চালায় এই ঘূর্ণিঝড়।
বুলবুলের দাপটে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বিশেষ করে কাঁচা বাড়ি, গাছপালার প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় গাছপালা ঘরবাড়ি চাপা পরে মৃত্যু হয়েছে গবাদিপশুর। সুন্দরবনের বিশেষ করে গোসাবা ব্লক ও বাসন্তী ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুলতলী ব্লকের ও বেশ খানিকটা অংশ। এছাড়া জেলার সাগর, কাকদ্বীপ, পাথর প্রতিমা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বুলবুলের দাপটে। রবিবার সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায় গাছপালা পড়ে।পরে স্থানীয় মানুষজন ও প্রশাসনের তৎপরতায় রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার কাজ হয়। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতি গ্রস্ত দের বাড়ি গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিকেষ করার কাজ শুরু হয়েছে।  শনিবার রাতে সচিবালয় নবান্নের কনট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত ১২টার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার অঞ্চলে বুলবুলের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ আরও বিশদে জানতে রবিবার সকাল হয়ে যাবে। বুলবুলের দাপটে ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকমের সহায়তা করা হবে। রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যে ১১৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জনানো হয়েছে শনিবার রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে বুলবুল। কলকাতায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলিতে ১০০ থেকে ১১০ প্রতি ঘন্টায় ঝড় বয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.