(চতুর্থ অধ্যায়ের পর) পাঁচ কমিউনিস্ট পার্টির সান্নিধ্যে ১৯৪৬-এর ১৬-১৭ অগাস্ট জুড়ে যে ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’[1] সংঘটিত হয়েছিল, তার অনেকখানিই আমি স্বচক্ষে দেখেছিলাম। রাস্তায় রাস্তায় ছিল মৃতদেহের স্তূপ। আরো বহুসংখ্যক মৃতদেহ হুগলী নদীতে ভাসছিল। অগ্নিসংযোগ এবং উন্মত্ত জনতার আক্রোশের ফলস্বরূপ প্রভূত ব্যক্তিগত এবং সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস হতেও চাক্ষুষ দেখেছিলাম। চারিদিকে মৃত্যুRead More →

(তৃতীয় অধ্যায়ের পর) চার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাক্ষাৎকার কলেজের পাট চুকে যাবার পর আমায় অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। আমি ততদিনে বিবাহিত এবং একটি পুত্রসন্তানের পিতা। গ্রামে আমার পিতামাতা সহ একটা গোটা পরিবারের ভার আমার উপর বর্তেছিল। এদিকে আমার পকেটে একটা কানাকড়ি ছিল না। একমাত্র যে চাকরিটি কেন্দ্রীয় সচিবালয়Read More →

(দ্বিতীয় অধ্যায়ের পর) তিন যে বীজগুলি পল্লবিত হয়েছিল কলেজের পড়া শেষ করবার চার বছর বাদে আমি যখন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিতে প্রস্তুত, সেই সময় পার্টি সদ্যোজাত ভারতীয় গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সালটা ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ, ফেব্রুয়ারি মাস। আমার সিদ্ধান্তের কথা জানালাম বন্ধু রাম স্বরূপকে, যার সাথে আমার সাক্ষাৎRead More →

(প্রথম অধ্যায়ের পর) দুই গান্ধীবাদ থেকে কমিউনিজম পর্যন্ত ঐ একই সময়ে আমি অল্প কিছুদিনের জন্য জৈনদের স্থাণকবাসী শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়ের সংস্পর্শেও এসেছিলাম। আমি যে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তা ছিল শ্বেতাম্বর জৈনদের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। সে সময় যে আত্মীয়ের বাড়িতে আমি থাকতাম, তিনিও ছিলেন জৈন। ঐ বিদ্যালয়ে জৈন ধর্মের মূলতত্ত্বগুলি শিক্ষাRead More →

অনুবাদকের ভূমিকা সীতারাম গোয়েল এবং রাম স্বরূপ – আধুনিক কালে ভারতীয় চিন্তাজগতের নিজস্ব ঘরানার এই দুই উজ্জ্বল নক্ষত্রের লেখা বাংলা ভাষায় খুব বেশি আলোচিত হয়নি। হিন্দু সভ্যতার উপর লাগাতার ইসলামী মৌলবাদ, ইউরো-আমেরিকান-খ্রিস্টীয় সাম্রাজ্যবাদ এবং বামপন্থার ত্রিমুখী আক্রমণের ফল হিসেবে যেসব ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে, তার খতিয়ান স্বাধীনোত্তর ভারতে এই দুই চিন্তাবিদ যত্নRead More →

১০ই অক্টোবর ১৯৪৬-এর কোজাগরী পুর্ণিমার রাতে শুরু হওয়া “নোয়াখালী হিন্দু-গণহত্যা” শুরু হবার মাত্র ৯ দিনের মাথাতেই সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নোয়াখালীর সেই মৃত্যুপুরীতে প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটে যান তৎকালীন “আনন্দবাজার পত্রিকা”র সম্পাদক শ্রী চপলাকান্ত ভট্টাচার্য মহাশয়। উপরিউক্ত “নোয়াখালির ধ্বংসকান্ড” শীর্ষক পুস্তিকায় তাঁর আঁকা সে দিনের সেই অমূল্য এবং ভয়াবহ চিত্রগুলি জাতীরRead More →

CAA নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে আসা, শরণার্থী মানুষের প্রতিক্রিয়া।Read More →

৫ নভেম্বর থেকে ৪দিন ব্যাপি এই কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিরা কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। নিউটাউন বিশ্ব বাংলা কনক্লেভ প্রেক্ষাগৃহে এই বিজ্ঞান উৎসবের শুভারম্ভ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সায়েন্স সিটি, এস আর এফ টি আই, কালটিভেশন অফ সায়েন্স সহ ৬টি স্থানে উৎসব মঞ্চRead More →

মুর্শিদাবাদ জেলার মুর্শিদাবাদ থানার ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হুলাসপুর গ্রামে দ্বিশতাধিক বছরের এক পীরস্থান, ‘বদর সাহেবের মাজার’ নামে যা পরিচিত। ১৯৫৬ সালের রেকর্ড মোতাবেক হুলাসপুর গ্রামের মহম্মদ আশিক আহমেদের পরিবার এটি দান করেছিল। এখানে বিঘা চারেক জমি আছে। হিন্দু মুসলমান সকলে এখানে মানত করে। বছরে এক বার মেলা হয়। মাজারেরRead More →

শীর্ষাসন ছেড়ে দন্ডবৎ-আসন করুন শীর্ষেন্দু! সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে উনি আগে ঝেড়ে কাশুন, কেন বাঙালি হিন্দুকে পূর্ব পাকিস্তান আর বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে হয়েছিল? দিলীপবাবুর কাছে কি তিনি উত্তর চাইছেন, বাংলাদেশ ছেড়ে কেন আসতে হয়েছিল তাঁকে? তারমানে কী এবার অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী মুসলমানদের কথা তিনি বলছেন? ওলোট-পাধ্যায় শীর্ষেন্দু? সায়ন্তন বাবু তো বলেই দিয়েছেন,Read More →