[শ্রী অলক কুমার নিয়োগী (১৬.০১.১৯৩৮ — ২৫.১০.২০২২), Alak Kumar Neogi, সংক্ষেপে A.K.N., তিনি নিজেই নিজেকে ব্যক্ত করলেন Amon Kichhu Na (এমন কিছু না, AKN), নিজের বহুল পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতাকে Dilute করে দিয়েছিলেন। চেষ্টা করেছিলেন সাধারণ্যে মেশার, প্রতিভাকে ঢাকার। তবুও তাঁর গণিত চর্চার কিংবদন্তি লোকমুখে ছড়িয়ে গেল। ছাত্র থেকে ছাত্রের অঙ্গুলিতেRead More →

[Aloke Kumar Neogi, সংক্ষেপে A.K.N., তিনি নিজেই নিজেকে ব্যক্ত করলেন Amon Kichhu Na (এমন কিছু না, AKN), নিজের বহুল পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতাকে Dilute করে দিয়েছিলেন। চেষ্টা করেছিলেন সাধারণ্যে মেশার, প্রতিভাকে ঢাকার। তবুও তাঁর গণিত চর্চার কিংবদন্তি লোকমুখে ছড়িয়ে গেল। ছাত্র থেকে ছাত্রের অঙ্গুলিতে গণিতের সৌন্দর্য গেল ছড়িয়ে।] জীবনে একটা সময়Read More →

ছাত্রাবস্থায় জেনেছিলাম, অনাথ ছাত্রদের প্রতি শ্যামাপ্রসাদের বিশেষ স্নেহমমতা ছিল। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রমে থাকতাম। সেখানে একটি অনাথ ছাত্রাবাসের নাম ‘হিন্দু মহাসভা ছাত্রাবাস’। সাধারণভাবে সেখানে ছাত্রাবাসের নাম হয় ‘ব্রহ্মানন্দ ধাম’, ‘শিবানন্দ ধাম’ ‘যোগানন্দ ধাম’ ইত্যাদি। কিন্তু তার মধ্যে ‘অন্য জাতীয় শব্দ’ ‘হিন্দু মহাসভা ধাম’ কীভাবে হয়ে গেলো, তার যোগ্য জবাব খুঁজেRead More →

হরিদ্বারে BMS (ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ)-র প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হচ্ছে। সেখানে দু’টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কোনো নেতার নামে জয়জয়কার করা হবে না। BMS-এর কোনো সদস্য বা নেতার জন্মদিন পালন হবে না। এরপর উদয়পুরে BMS-র এক অধিবেশনে গেলেন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ ঠেংড়ীজী। সেখানকার কার্যকর্তারা তাঁকে অত্যন্ত যত্ন করলেন। স্টেজে একRead More →

১৮৯৫ সালের নভেম্বরের এক বিকেল, লন্ডনের ওয়েস্টএণ্ডের এক গৃহাভ্যন্তরে অভ্যাগতদের মাঝে গৈরিক পরিচ্ছদ ও কোমরবন্ধে সজ্জিত এক উজ্জ্বল ভারতীয় সন্ন্যাসী যুবক। অদ্বৈতবাদের ব্যাখ্যা করছেন — “সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”-র রূপ; গীতা থেকে শ্লোক উদ্ধৃত করছেন, আর এক দিব্যাভ্যাসে মাঝেমাঝেই চীৎকার করে বলছে, ‘শিব! শিব!’ যেন এক দিব্য শিশু, বয়স তেত্রিশ! অবলোকনRead More →

লোকমাতা রানী রাসমণির আবির্ভাব দিবসে শ্রদ্ধা। ১৭৯৩ সালে আজকের দিনে (২৮ শে সেপ্টেম্বর) তাঁর জন্ম। এক অব্রাহ্মণ বঙ্গনারী কতটা মানসিক ও ঐশী শক্তি ধারণ করলে আধ্যাত্মিক সংস্কার করতে পারেন, তার খোঁজ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নেই। রানী ধর্ম আধারিত সংস্কার করেছিলেন বলেই সেকুলার বুদ্ধিজীবীরা তাঁকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেন নি। রানী বিশ্ববাসীর জন্যRead More →

পরিচ্ছন্নতার মধ্যেই যে ঈশ্বরের অধিষ্ঠান, ঈশ্বরকে নৈবেদ্য প্রদানের মধ্যেও যে মিছরির মতো স্বচ্ছ সামগ্রী এবং স্পষ্ট হৃদয় দিতে হয়, তা শ্যামলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৩৭-২০২২) তাঁর জীবনচর্যা ও মানসচর্চার মাধ্যমে আমাদের শিখিয়ে গেলেন। আমরা তাঁকে বলতাম ‘স্বচ্ছ সঙ্ঘী’। আবর্জনা দূরে সরিয়ে মানুষকে বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার শিক্ষক। সঙ্ঘকে ভালোবেসে যিনি বলতে পারেনRead More →

১৯৫০ সাল থেকে একাদিক্রমে প্রায় ৭২ বছর কাটিয়েছেন এক মারাঠি যুবক, বঙ্গের নগরে প্রান্তরে; জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, ভারতীয় সংস্কৃতির অখণ্ড চর্চায় বাঙ্গালি সমাজকে অবগাহনের মন্ত্র শোনাতে গিয়ে নিজে কখন যে অনবধানে ডুব দিয়েছেন বঙ্গ-সংস্কৃতির অতল গভীরে; আর হয়ে উঠেছেন আদ্যন্ত এক বাঙ্গালি — তা নিজেও হয়তো টের পাননি। হ্যাঁ, এমনই একRead More →

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ আরণ্যক ’ উপন্যাসে জঙ্গলবন্ধু যুগলপ্রসাদকে দেখেছি জঙ্গলের মধ্যেই সে বনস্পতির চারা লাগায়; জঙ্গলেই বনসৃজন করে। এ যে তেলা মাথায় তেল দেওয়া নয়! জঙ্গল কেটে ক্রমাগত বসতি স্থাপন করে, চাষাবাদ করে আমরা বনের ঢাকা-মাটি নগ্ন করে দিয়েছি। বাদাবন কেটে ঝড়-ঝঞ্ঝার অবারিত দ্বার খুলে দিয়েছি। অরণ্য কেবল কেটে ফেলারRead More →

সুদর্শনে গোপাল-গোবিন্দ ।কবি বলছেন “মানুষই দেবতা গড়ে/তাহারই কৃপার ‘পরে/করে দেব মহিমা নির্ভর।” জন্মাষ্টমীতে বংশীধারী কৃষ্ণকে প্রদর্শন করে আমরা শক্তি হারিয়েছি। বাঁশির-রূপে বাঙালিকে জারিত করেছে কে? মধ্যযুগীয় বিদেশি শাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু প্রবুদ্ধজন, কবি ব্যক্তিত্ব। তারপর এল কথক ঠাকুরের কারুকাজ; পরিবর্তন এল পালাগান, কীর্তন, শিল্প সংস্কৃতিতে— ধীরে ধীরে জারিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ উপস্থাপিতRead More →