ভারতমাতা হচ্ছেন অখন্ড ভারতবর্ষের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, মাতৃকা সাধনার এক সনাতনী ভৌমরূপ। ভারতবর্ষ নামক এক অতুল্য দেশকে জননী জ্ঞানে শ্রদ্ধা ভক্তির নামই ভারতমাতা-পূজন। যে দেশে আমার জন্ম, যে দেশের সম্পদ গ্রহণ করে আমার এই শরীর, যে দেশের গৌরবে আমার অন্তঃকরণ আনন্দ লাভ করে, যে দেশ আমাকে অন্তরাত্মার সন্ধান দিয়েছে — তারইRead More →

“একদা শাক্যরাজপুত্র গভীর রাতে মানুষের দুঃখ দূর করবার সাধনায় রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে বেরিয়েছিলেন… সে তপস্যা সকল মানুষের দুঃখ-মোচনের সংকল্প নিয়ে। এই তপস্যার মধ্যে কি অধিকারভেদ ছিল? কেউ ছিল কি ম্লেচ্ছ? কেউ ছিল কি অনার্য? তিনি তাঁর সব-কিছু ত্যাগ করেছিলেন দীনতম মূর্খতম মানুষের জন্যে। তাঁর সেই তপস্যার মধ্যে ছিল নির্বিচারে সকলRead More →

আজ অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির দিনটি থেকে শুরু হচ্ছে বসুধারা ব্রত। গ্রীষ্মের চরম দাবদাহকে মনে রেখেই এই ব্রত। গৃহাঙ্গনে রোপিত গাছগুলিকে সূক্ষ্ম জলের ধারা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার এক হিন্দু ব্রত ও আচার। ‘বসুধারা’ মানে পৃথিবী অথবা পৃথিবীর জল-সম্পদের স্রোত। বিবাহ উপলক্ষে সনাতনী হিন্দুর গৃহে দেওয়ালে আঁকা হয় সিঁদুরবিন্দুসহ ঘিয়ের পাঁচটি অথবাRead More →

পয়লা বৈশাখ যশোহর-নৃপতি মহারাজ প্রতাপাদিত্য (১৫৬১-১৬১১)-র রাজ্যাভিষেকের দিন। মহারাজের স্মৃতিকে যদি তুলে ধরি, তবে আত্মপ্রকাশ করবে আগ্রাসী মুঘলদের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধীন স্বরাজের আর এক আদর্শ স্থাপনের গল্প। যে রাজ্যের সীমানা ছিল ধূমঘাট থেকে পাটনা, পুরী থেকে চট্টগ্রামের সন্দীপ। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজেরও পূর্বে (১৬৩০-১৬৮০) বাংলা পথ দেখিয়েছিল মুঘলদের বিরুদ্ধে বীরত্বের প্রদর্শনে।Read More →

উদীয়মান বলার্কের মতো কান্তিমান পবননন্দন, বানর শিরোমণি হনুমান। তাঁর বর্ণ অশোক ফুলের মতো, তাঁর চোখ সোনার মতো, তিনি বিপুল এবং বিশাল। শ্রীরামচন্দ্রের পক্ষে দূত হয়ে তিনিই গিয়েছিলেন লঙ্কায়। বীর্য ও ধৈর্য্যের আধার তিনি; তিনি প্রভুভক্ত, বানরোত্তম, বলবীর্যশালী দৈব্যসত্তা। জনকদুহিতা সীতাদেবীর খবর নিয়ে আসতে তিনি সক্ষম ছিলেন। শতযোজন সাগর অতিক্রম করতেওRead More →

শ্রীরামকৃষ্ণ-পার্ষদ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজ মুর্শিদাবাদ জেলার মহুলা-সারগাছিতে ১৩০৩ বঙ্গাব্দের (১৮৯৭ সালে) অন্নপূর্ণা পূজার দিন সেবাধর্মের সূত্রপাত করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড়ের অধীন প্রথম শাখা কেন্দ্র। কয়েকটি অনাথ বালককে নিয়ে আশ্রমের কাজ শুরু করলেন তিনি। একটি চিঠিতে স্বামী বিরজানন্দকে তিনি লিখছেন, “১৩০৩ সালের শুভ অন্নপূর্ণা পূজার দিন ঠাকুর এখানেRead More →

বিশ্ব সৃষ্টিতে নারী আর পুরুষের সমান হস্তক্ষেপ আছে। ‘নারী’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম লিখছেন, “বিশ্বের যা কিছু মহান/সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী/ অর্ধেক তার নর।” অপরদিকে ‘মানসী’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, “শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী–/ পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি/ আপন অন্তর হতে।” কবিতাটির শেষে গিয়ে তিনিRead More →

সমগ্র বাঙালি শিশুর নিকটাত্মীয়, শিশুসাহিত্যিক এবং মুদ্রণ জগতের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর আজ প্রয়াণ-বার্ষিকী (২০ শে ডিসেম্বর, ১৯১৫)। বাংলা ভাষায় ছোটোদের জন্য রামায়ণ এবং মহাভারতের কাহিনী নিয়ে রচিত তাঁর গ্রন্থ আজও বাঙালির প্রাণের সম্পদ। ভারতীয় মহাকাব্য কেবল সাহিত্য নয়, ইতিহাসও বটে। এই অন্তরাত্মার ইতিহাস সকল ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া দরকার। বাঙালিRead More →

যার নামে আর.জি.কর মেডিকাল কলেজ অ্যাণ্ড হসপিটাল, সেই চিকিৎসক আর.জি.কর বা রাধাগোবিন্দ কর (২৩ আগষ্ট, ১৮৫২/১৮৫৩ — ১৯ ডিসেম্বর ১৯১৮) মেডিকাল কলেজে ভর্তি হয়ে একবছর পড়ে, কলেজ ও পড়াশুনো ছেড়ে দেন। যৌবনের ধর্মে তিনি বিপথগামী হলেও, আদর্শের টানেই আবার পড়াশুনোর জগতে প্রায় এক দশক পর ফিরে আসেন (১৮৮০/১৮৮১)। এই সময়েরRead More →

শ্রীঅরবিন্দ তাঁর বঙ্গপর্বের সময় গীতা বিষয়ক একটি প্রবন্ধ রচনা করেন। তিনি তখন সাপ্তাহিক ‘ধর্ম’ পত্রিকা সম্পাদনা করছেন। ১৯০৯ সাল থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে প্রকাশ করলেন ‘গীতার ভূমিকা’ সংক্রান্ত ধারাবাহিক কিছু লেখা। তা পুস্তক আকারে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম ট্রাস্টের তরফে ১৯২০ সালে। তখন তিনি পণ্ডিচেরীতে রয়েছেন। বইটিতে কী আলোচনাRead More →