২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল যে শতবর্ষের স্মরণ ভারতবাসীকে করতে হয়েছিল, তা কোনো আনন্দের উৎযাপন ছিল না, কোনো মনীষার শুভ আবির্ভাব দিবসও ছিল না। তা ছিল মানুষের পাশবিক শক্তির অস্তিত্বের পরিচায়ক, ছিল এক কোট-প্যান্ট পরিহিত জাতির বর্বরতার ঝুলি থেকে চুঁইয়ে পড়া লোভ, ক্ষমতাদর্প ও নৃশংসতার প্রকাশ। এই আদিম হিংস্রতার অনুসন্ধান যদিRead More →

১৯১৪, ২৮ জুলাই : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হল। ১৯১৫, ১৯ মার্চ : ‘ডিফেন্স অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯১৫’ বা ভারত প্রতিরক্ষা আইন নামক একটি জরুরী ক্রিমিনাল আইন প্রণয়ন করে ব্রিটিশ সরকার ভারতের সমস্ত জাতীয়তাবাদী ও বিপ্লবাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করতে চাইল, যাতে যুদ্ধের সময় দেশকে আইনের শাসনে এবং শাস্তিতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়Read More →

১৯১৯ সালের ১৩ ই এপ্রিল বৈশাখী উৎসবের দিন বিশ্বের অন্যতম নৃশংস ও বীভৎস হত্যাকান্ড সংগঠিত করে ব্রিটিশ সরকার। কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শক্তি ভারতে সাম্রাজ্য দখলে রাখতে প্রায় ১৬০০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে এক হাজারের অধিক নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে এবং আরও কয়েক হাজার মানুষকে আহত করে, যদিও সরকারিভাবে নিহতRead More →

নেপালে (Nepal) রামায়ণ ও শ্রীরামকে জনপ্রিয় করে তোলেন নেপালী ‘আদিকবি‘ ভানুভক্ত আচার্য (Bhanuvokto Acharya) (১৮১৪ — ১৮৬৮)। এতটাই আকর্ষণ যে ভানুভক্তের রামায়ণ পাঠ করার আগ্রহে বহু নেপালী (Nepali) নিরক্ষরতা পরিত্যাগ করে বর্ণ পরিচয় ও পঠন-পাঠনের দৌলতে সাক্ষরতার দিকে এগিয়ে যায়। এই রামায়ণকে কেন্দ্র করেই নেপালী(Nepali) ভাষা গঠনমূলক পর্যায়ে পৌঁছে বিশ্বেRead More →

১.বাংলার আলপনা দ্বিবিধ — কামনাত্মক ও নান্দনিক। নান্দনিক আলপনা আঁকা হয় আনুষ্ঠানিক কাজে সৌন্দর্যের প্রয়োজনে; যেমন বিবাহ, উৎসব, সমাবর্তন সহ নানান সমাজিক-পারিবারিক উৎসবের প্রেক্ষিতে। কামনাত্মক আলপনা আঁকা হয় ব্রতানুষ্ঠানে, যেখানে পার্থিব কামনা-বাসনাই প্রাধান্য পায়। উভয়ক্ষেত্রেই নান্দনিকতা ও কামনার প্রকাশে ব্যবহৃত হয় কিছু ‘ মোটিফ‘ । এই মোটিফ প্রকাশের যা চিত্র,Read More →

বঙ্কিমী (Bankemi) প্রভাবে বঙ্গসংস্কৃতির আঙিনা থেকেই একদিন বঙ্গীয় যুবকদের যাবতীয় শক্তির উৎসকে খুঁজে দিয়েছিলেন তিনি, পুরো ব্রিটিশ ভারত তখন শ্রীঅরবিন্দকে (Shri Aurobindo) নিয়ে তোলপাড়। এরই মধ্যে তিনি উপস্থাপন করলেন বাংলার শক্তি-সাধনার এক অনন্য ধারা — যে বাংলা তন্ত্রের পীঠস্থান, যেখানে আদ্যাশক্তি লীলাময়ী, যেখানে ভগবান মাতৃরূপে সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যে প্রকাশিত, তারই আদলেRead More →

শাকম্ভরী দুর্গা কৃষি দেবী: আদিম মানুষ একটি জিনিস খুব নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে বুঝেছিল যে, সন্তান আর শস্য দুই-ই উৎপাদন; সন্তান ধারণ করেন মা আর শস্যের জন্মস্থান মাটি। মাটির গর্ভে ফসলের জন্ম। সুতরাং মাটিও মা; ফসল নিয়ে আবির্ভূত পৃথিবী মাতৃদেবী। মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা (Mahenjodaro-Harappa) থেকে প্রাপ্ত মাতৃদেবী মূর্তি ভারতবর্ষের মাতৃমূর্তির প্রাকরূপ; তাRead More →

[ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ে, পরস্পরের থেকে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে যথোপযুক্ত সচেতন থেকে কৃষিজীবী মানুষ তার আবাস নিকটস্থ ফসল জমির পরিচর্যা করবেন এই আশা রেখেই প্রস্তুত পোস্ট। সাধারণভাবে কীটনাশক ও রোগনাশক ব্যবহারের জন্যও কৃষককে মুখাবরণী পরে নেবার কথা বলা হয় বারবার। অযথা ভীড়/জটলা এড়িয়ে চলুন, তা কীটনাশকেরRead More →

ভারতের (India) জাতীয় পতাকা পরিকল্পনা করতে দেখা যায় ভগিনী নিবেদিতাকে (Sister Nivedita)। তাতে বজ্রচিহ্ন আঁকা, অভ্যন্তরে ‘বন্দেমাতরম‘ কথাটি লেখা। প্রকৃতপক্ষে আত্মত্যাগ না হলে দেশ, জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। নিবেদিতার আঁকা বজ্রচিহ্ন ভারতবর্ষের দধীচি মুনির মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয়৷ কারণ তারই হাড় দিয়ে তৈরি হয়েছিল ভয়ঙ্কর অস্ত্র ‘বজ্র‘। দেবাতারাRead More →

প্রথমেই জানাই আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। গ্রামবাসীরা প্রথমে মনে করতেন, বকের বিষ্ঠা! বিগত এক বছর ধরে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে ছড়িয়েছে এই সমস্যা। ইদানীং করোনা ভাইরাস (Corona virus)-আতঙ্কে মানুষের নজর নারকেল গাছে। রাতে তোলা নারকেল ছবি ভাইরাল হচ্ছে। কালো রাতের আঁধারে সাদা দাগ; মানুষকে এক ভয়ের পরিবেশ রচনা করিয়ে দিচ্ছে। পূর্বেRead More →