পঞ্চাশের দশকে কলকাতায় দর্জিপাড়ার বাড়ির দোতলাতে বড়দাদুরা থাকতেন। ঠাকুমা তাদের বাঙাল বলতেন। বাঙাল মানে কি করতাছিস? কোথা যাস’—এ ধরনের কথা যারা বলে তাদের বুঝতাম। পরে যত বয়স বেড়েছে, পূর্ববঙ্গ, দেশভাগ, পূর্বপাকিস্তান, বাংলাদেশ শব্দবন্ধগুলির অর্থ স্পষ্ট হয়েছে। ষাটের দশকে শিয়ালদহ সাউথ সেকশন দিয়ে কলকাতায় কলেজে যাতায়াত করেছি, তখন স্টেশন চত্বর জুড়েRead More →

শেষমেশ বেরিয়েই পড়লাম। নানা কাজের চাপে এবারে কুম্ভে যেতে পারব কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। কিন্তু শিব চতুর্দশীর শেষ স্নানটা করার সুযোগ এসে যাওয়ায় ওটা আর হাতছাড়া করা গেল না। রওনা দিলাম কুম্ভের উদ্দেশে। এর আগেও প্রয়াগের কুম্ভমেলায় দু’বার এসেছি। দু’বারই মেলা প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা ভিএইচপি-র শিবিরেই ছিলাম। এবার ভিএইচপি-রRead More →

“আমার তখন পইতা হইয়াছে। দুই কানে দুই সোনার মাকড়ি, মাথা নেড়া, পায়ে কাশীর জরির জুতা, পরনে গেরুয়া রঙের থান পেড়ে কাপড়, গায়ে গেরুয়া রঙের এক ভাগলপুরী বাপ্তার কোট। তখন আমি বোধহয় ফিফ্‌থ ক্লাসে পড়ি। স্কুলে যাইয়াই শুনিলাম, ইনস্পেক্টার ভূদেববাবু স্কুল দেখিতে আসিবেন। হেডমাস্টার ছিলেন— বাবু বেণীমাধব দে। ঠিক বেলা দুইটারRead More →