Bilingual : উম্পুন-ত্রাণ ও রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে ড. অমিত মিত্রকে লেখা খোলা চিঠি

মাননীয় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র মহাশয়,

কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যম-এর সাহায্যে মাননীয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত আপনার একটি সাংবাদিক বৈঠক শুনছিলাম। আপনার বক্তব্যে আপনি প্রথম প্রশ্ন করেন দেশের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামনকে এবং আপনি বলেন একজন অনির্বাচিত প্রতিনিধি কীভাবে একজন সাত বারের নির্বাচিত প্রার্থীকে প্রশ্ন করতে পারেন। যদিও আপনার অজ্ঞতা আমার কাছে স্বাভাবিক। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই ভারতের আইনভাগে কিন্তু দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, যেখানে লোকসভার সদস্যদের নির্বাচন করেন ১৩০ কোটি দেশবাসী এবং রাজ্যসভার অর্থাৎ উচ্চকক্ষে বিধানসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা করে থাকে। আমি নিশ্চিত যে আপনিও এই নির্বাচনগুলোর অংশ ছিলেন এবং মতদান করেছেন কিন্তু আপনি বোধহয় কোথাও বুঝতে ভুল করছিলেন তাই তথ্যগুলো তুলে ধরলাম।

এই খোলা চিঠির বিষয়গুলিতে আসার আগে আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই এই কঠিন সময়ের আপনার দায়িত্ব অর্থাৎ করোনা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির প্রধান হিসেবে এবং সেই সূত্রে কিছু প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই করোনা মহামারীর জন্য পশ্চিমবঙ্গ তহবিলে দেড় লক্ষ কোটি টাকা ঘোষণা করেছিলেন। এই বিশাল পরিমাণ অর্থের প্রভাব মানুষের কল্যাণে কতটা লেগেছে এবং লাগলেও কি সেই লক্ষ লক্ষ গরীব মজদুর ভাইদের পেট ভরাতে পেরেছে নাকি এটিও দলীয় তহবিলেই পৌঁছেছে এটাই বড় প্রশ্ন?

আপনাকে তাহলে বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা জানাই। গতকাল সারাদিন আমরা এক করোনা পজিটিভ রুগীর জন্য সারা কলকাতার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরেছি। আপনাদের সরকারের বুলেটিন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ যা বেডের আয়োজন করা হয়েছিল তার ২৩.২৫ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে অর্থাৎ যদি ৮১৩১ বেড উপলভ্য থাকে তারই নমুনা দেখলাম গতকালকে সত্যিই এটাই হয়তো আপনাদের সোনার বাংলা।

এবার আসা যাক আপনার ২০১৩ সালের বিশেষ তত্ত্বের উপর অর্থাৎ কেইনসিয়ান মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট। যেখানে বলা হয়েছে যদি রাজ্য সরকারকে ২২,০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রকে না ফেরত দিতে হত তাহলে পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি হত ৮৮,০০০ কোটি। আপনার তত্ত্বে না ঢুকে যদি ৪ গুণও পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি হত তাহলে বাংলার অর্থনীতির আজকে এই হাল হতই না। এই অবনতি উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি।

বিগত আট বছরে বাংলার ঋণের ভার ৩.৯ লক্ষ কোটি টাকার, যা কিনা অসীম দাশগুপ্ত এবং অশোক মিত্রদের ৩৪ বছর লেগেছিল। বর্তমানে বাংলায় প্রতিটি শিশু জন্ম নিচ্ছে মাথাপিছু ৪৫,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে।

হ্যাঁ এটাই আপনাদের সরকার। বলাই বাহুল্য মা মাটি মানুষের সরকারে স্বাস্থ্য, শিল্প, শিক্ষা এই তিনের প্রাধান্য কখনই ছিল না। গত ৬ বছরে আপনার নেতৃত্বে রাজ্যে বিনিয়োগের অর্থের চুক্তি হয়েছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার। কিন্তু বাস্তবটা হচ্ছে লিখিত প্রস্তাব ছিল মাত্র ৩.৫ শতাংশ এবং আসল বিনিয়োগের অর্থ ছিল মাত্র ১ শতাংশ অর্থাৎ মাত্র ২৫০০ কোটি টাকা প্রতি বছর।

সাংবাদিক বৈঠকে আপনি বললেন যে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব ১৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এর মধ্যে কি আপনি বাংলার মজদুর এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের রেখেছেন নাকি আপনি তাঁদের রাজ্যের মানুষ হিসেবেই মনে করেন না? বলা বাহুল্য আপনাদের নেত্রী আবার বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসা ট্রেনের নাম দিয়েছেন করোনা এক্সপ্রেস। এবং তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে শহরের সুলভ শৌচালয়গুলোতে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ পশ্চিমবঙ্গ সরকার শ্রমিক এক্সপ্রেস কিংবা বন্দে ভারত বিমান রাজ্যে ঢুকতে দেয়নি কেন? আপনার আর একটা অসত্য কথার একটু সঠিক বিশ্লেষণটা করে দিলে ভালো হয়। আপনি বলেছেন নাকি ৪০টা ট্রেন হারিয়ে গিয়ে ভুল গন্তব্যে পৌঁছেছে। জানিয়ে রাখি এই ট্রেনগুলো রেল মন্ত্রক দ্বারা কিছু প্রযুক্তিগত কারণে অন্য রুটে অপসারিত করা হয় এবং নির্ধারিত গন্তব্যে সেগুলো পৌঁছে গেছে। চিন্তার কোনো কারণ নেই।

অমিত বাবু আপনি বললেন উম্পুনের জন্য রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকার কিন্তু কেন্দ্র নাকি ঘোষণা করেছে কেবল ১০০০ কোটি টাকা। বলতেই হবে সুন্দর করে আপনারা বেশ কথা সাজান। আপনি খুব ভালো করেই জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উম্পুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে জানান আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তিনি সেই মুহূর্তে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা দেবেন এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সাহায্য রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে যায়, কিন্তু বেশ আশ্চর্যজনক ব্যাপার মাননীয়া উম্পুনের কয়েক ঘণ্টা পর ঘোষণা করেন রাজ্যে ক্ষতির মূল্য প্রায় ১ লক্ষ কোটি, আবার সরকারের পরবর্তী সময়ের লিখিত হিসেবেও মেলে সেই এক সংখ্যা। বিচিত্র এই বঙ্গ।

খুবই উপকৃত হব যদি এই ১০০০ কোটি টাকা অনুদানের বিষয়ে একটু বিস্তারিত বলেন। আজ প্রায় দেড় মাস মানুষের হাহাকার কি তবে ত্রাণ লুঠেই মিটবে নাকি মাননীয় পদক্ষেপ নেবেন?

দাদা, উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।

ইতি,
শিশির বাজোরিয়া

Hon’ble Finance Minister Dr. Amit Mitra,

I heard your press conference the other day, which presumably was with the inspiration (অনুপ্রেরণা) of the Chief Minister Smt Mamata Banerjee.

You started by questioning Union Finance Minister Smt. Nirmala Sitharaman ji’s locus-standi, as an unelected person to raise questions on a 7 times elected Smt Mamata Banerjee. Dada, your ignorance is not surprising. For your information India follows a bicameral parliamentary system, in which Members of Parliament are elected to the lower house, Lok Sabha, by the people and to the upper house, Rajya Sabha, by the elected representatives in the Vidhan Sabha. I am sure you also voted in such elections, but you may not have been able to comprehend what you voted for.

Before I take it up point by point, I would like to draw your attention to your role as the head of the Cabinet Committee on Covid Affairs. A fund of Rs 1.5 lakh crores was announced by Mananiya Chief Minister. Since nothing of this huge fund has been seen or felt on the ground, while Covid infection in the state is rapidly rising, my question is- were these funds released and if so, did they end up with the ‘usual beneficiaries’ and not the needy?

Yesterday we spent better part of the day, unsuccessfully looking for a hospital bed for a known Covid positive person. Despite your Government’s bulletin reporting only 23.25% of the 10,594 beds utilised, i.e. 8,131 bed available, we could not find a single bed. You expect anyone to believe this daily report!

Dada, let me draw your attention to your theory in 2013, based on Keynesian multiplier effect, that had the State Government not returned Rs 22,000 crores to Centre it would have created a GDP of Rs 88,000 crores. Not getting into the which Keynesian theory you referred to, but with the multiplier of 4 time West Bengal GDP would have been much higher if the monetary splurge had not taken place without creating any assets, only for the benefit of your party leaders.

You, also have the distinction of doubling the debt burden at Rs 3.9 lakh crores in just 8 years, what the mighty team of Ashim Dasgupta and Ashok Mitra took 34 years to achieve. As a result, now in West Bengal, every child is born with a Rs 45,000 debt.

Dada, is it not a fact that your colleague Shri Partha Chatterjee the then Commerce & Industry Minister had confronted you when you disagreed with his figures of investment in the State causing much embarrassment.  Hats-off to the CM whose solution ensured such would never ever happen. You became the Minister for both Finance and Commerce & Industry. You then excelled in your role by announcing annually after the so-called business summit investments of Rs 2.4 lakh crores. In 6 years this totaled Rs 15 lac crs. The reality is- written proposals received was 3.5% and actual investment made a mere 1% i.e. around Rs 2,500 crores per year.

In the press conference you spoke about the unemployment rate of 17% in West Bengal. My simple question is- does this include the migrant workers who have returned or you do not consider them as people of  West Bengal? After all, your great leader calls the train that ferried them ‘Corona Express’ and quarantines them in Sulabh Sauchalay (public toilets). Is it not a fact that West Bengal did not let Shramik Express trains and Vande Bharat flights enter for many weeks?

Another blatant un-truth of yours, “40 trains got lost and went to the wrong destination”. In case you do not know or choose not to know, these were diverted on a longer route by the Railways due to technical reasons and all trains reached their original destinations.

You said the loss of the state due to Amphan cyclone was Rs 1 lakh crores, but the PM only announced Rs 1,000 crores. Shall I call it a deliberate un-truth? You very well know that the Hon’ble PM Modi ji immediately after the aerial survey and meeting with the CM announced as an interim measure Rs 1,000 crs which was remitted within 24 hours. It is pertinent to mention that the Chief Minister had quantified the loss at Rs 1 lakh crores within few hours of the cyclone and miraculously the Government’s detailed calculation also came to the same number.  Will you also give some idea how this Rs 1,000 crores was spent, as we did not see evidence of relief reaching for weeks.

Dada, awaiting your response.

Yours
Shishir Bajoria

(Note: Shishir Bajoria is a BJP leader from West Bengal and is a Core Committee Member of the Dept. Of Foreign Affairs, BJP.)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.