আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দেশের দুর্বলতর শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া প্রয়োজন। এই প্রকল্পে যোগ দিলে প্রতিটি রাজ্য আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সব সুবিধা পাবে। সেজন্য তাদের বাড়তি কোনও খরচও করতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিতে একথা লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।
এর আগের এনডিএ সরকারের আমলে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা প্রকল্প চালু হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও অপর যে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ওই প্রকল্পে যোগ দেয়নি, তাদের শামিল করার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেজন্য তিনি মমতা বাদে চিঠি দিয়েছেন দিল্লি, ওড়িশা, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীদেরও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুধু চিঠি দেননি, নিজে ফোনে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। হর্ষবর্ধন বলেন, আমি চেষ্টা করছি যাতে যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এখনও এই প্রকল্পে শামিল হয়নি, তাদের যুক্ত করা যায়। আমি চাই, যারা এই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার যোগ্য, তাদের একজনও যেন বঞ্চিত না হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কাজকর্ম খুবই স্বচ্ছভাবে হয়। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। যে রাজ্য এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে, তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছে। এজন্য তাদের বাড়তি খরচও করতে হচ্ছে না।
হর্ষবর্ধন ওই প্রকল্পের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে আয়ুষ্মান ভারত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছেই লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন গরিব মানুষ। এতে প্রতিটি রাজ্য অন্য রাজ্যের হাসপাতাল থেকে সহায়তা নিতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কোনও রাজ্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে যুক্ত হলেও তার নিজস্ব স্বাস্থ্য প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে না।