স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা : শেষ রক্ষা হল না। ফিরে এল ছন্দা গায়েনের স্মৃতি। ডেথ জোনে আহত অবস্থায় আটকে পড়ে মারা গেলেন দুই পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ার ও বিপ্লব বৈদ্য। কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করেছিলেন দুজনেই। পাঁচ বাঙালির মধ্যে। দু’জন সুস্থ অবস্থায় ফিরে এলেও ফেরা হল না কুন্তল কাঁড়ার ও বিপ্লব বৈদ্যর। অ্যাডভেঞ্চার পোর্টাল ড্রিম ওয়ান্ডারলাস্টের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, কাঞ্চনজঙ্ঘার উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে।
উদ্ধার অভিযান চলার সময় ক্যাম্প-৪ এর কিছু উপরে কুন্তল ও বিপ্লব বৈদ্য শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আহত বাঙালী পর্বতারোহীদের উদ্ধারের জন্য যাওয়া নির্মল পূর্জা, গেসমান তামাং, মিংমা ডেভিড শেরপা ও পিক প্রমোশন এজেন্সির শেরপারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও উদ্ধার কাজ স্থগিত করে ক্যাম্প-৪ এ চলে এসেছেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা বেস ক্যাম্পে থাকা ভারতের মহারাস্ট্রের ‘গিরি প্রেমী’ দলের নেতা উনেশ জিরপে ও অভিযানের দায়িত্বে থাকা এজেন্সির থেকে জানা গিয়েছে আটকে পড়া পর্বতারোহী দুজনকে উদ্ধারের জন্য পুনরায় কোনও অভিযান পরিচালনা করার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
অপরদিকে একই দলের আরেকজন আরোহী রমেশ রায়কে রাত দশটার দিকে শেরপারা ক্যাম্প-৪ এ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তারও অল্টিটিউড সিকনেস এখন দ্রুত অবনতি হচ্ছে আর পালপোনারি এডিমা (ফুসফুস জলে ভরে যাচ্ছে) ডেভেলাপ করছে। সেই সঙ্গে তাঁর স্নো ব্লাইন্ডনেসও হয়েছে। তিনি আপাতত চোখে কিছু দেখতেও পাচ্ছেন না।
সকালে জানা গিয়েছে দলের আরেক সদস্য রুদ্র প্রসাদ হালদার গুরুতর ফ্রস্ট বাইটে আক্রান্ত হয়েছেন। ক্যাম্প-৪ এ থাকা অসুস্থ দুজন পর্বতারোহী রমেশ রায় এবং রুদ্র প্রসাদ হালদারকে ক্যাম্প-৩ এ নামিয়ে আনার চেষ্টা করার হবে। সেখান থেকে তাদের হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করার কথা রয়েছে।
অসুস্থ চারজন পর্বতারোহীই পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ সদস্যের কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানের সদস্য। দলের আরেক জন সদস্য হচ্ছেন এসকে সাহাবুদ্দিন। এর আগে গতকাল দলের চারজন সদস্য, রমেশ রায়, রুদ্র প্রসাদ হালদার, বিপ্লব বৈদ্য এবং এসকে সাহাবুদ্দিন পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা আরোহণ করেন। সামিট থেকে ফেরার পথে ৮২০০ মিটারের কাছাকাছি ডেথজোনে কুন্তলা কাঁড়ার এবং বিপ্লব বৈদ্য অসুস্থ হয়ে পড়েন।