বিজেপি পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা (Baghdad) ব্লকের সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের তালা ভেঙ্গে লুঠ করা হল প্রচুর ত্রিপল। পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই এই সব লুঠ করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আমফান তছনছ করে দিয়েছে অনেক কিছুই। বুধবার সন্ধেবেলা কালবৈশাখী তাণ্ডব দেখিয়েছে জেলা জুড়ে। উড়ে গিয়েছে মাথা গোঁজার ছাদ। পঞ্চায়েত থেকে তড়িঘড়ি গ্রামবাসীদের জন্য ত্রিপল বিলি করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। বিডিও থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই মতো ত্রিপল বিলি করবে পঞ্চায়েত। অভিযোগ, বিলির আগেই পঞ্চায়েতের বিরোধীরা গ্রামে প্রচার করে দেয় বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত থেকে ত্রিপল বিলি করা করবে। সকাল আটটা থেকে পঞ্চায়েতের সামনে বিশাল লাইনও পড়ে। প্রধান আসার আগেই তৃণমূলের মদতে পঞ্চায়েতের তালা ভেঙ্গে প্রায় ৫০০ ত্রিপল লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ।
সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সৌমেন ঘোষের অভিযোগ, ”মানুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আর ধৈর্য রাখতে পারেনি। পঞ্চায়েত অফিসও সময়মতো খোলা হয়নি। প্রধানও দেরি করেছেন আসতে। এসবের কারণেই এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটল। মানুষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশই এই ঘটনা।” তবে ত্রিপল নিতে এসে সামাজিক দূরত্ব এখানে যে একেবারেই বজায় রাখেননি স্থানীয় মানুষজন, তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে পুলিশ।
পঞ্চায়েত প্রধান লতিকা মণ্ডলের অভিযোগ, ”ত্রিপল বণ্টনের আগে আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করছিলাম। কাদের দেওয়া হবে, কত পরিমাণ দেওয়া হবে – এসব নিয়ে। কিন্তু তারই মধ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মদতে অফিসের তালা ভেঙ্গে ত্রিপলগুলো লুঠ করে নিয়ে যায়। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।
এই ঘটনায় জেলার বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, করোনার প্রথম দিন থেকে ওই গ্রামের মানুষের পাশে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান সহ সদস্যরা। বুধবারের ঘূর্ণি ঝড়ের পর দিনই প্রধান প্রায় ৭০০ ত্রিপল গ্রামবাসীদের দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মদতে পঞ্চায়েতের তালা ভেঙ্গে ত্রিপল লুঠ করে।