ক্ষমতায় পুনরায় ফিরে আসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বিজেপি-র সরকার হলে বাংলায় আমরা এনআরসি নিয়ে আসব।তারপর বেছে বেছে সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারিদের বার করার কাজ ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার করবে। রাজ্যের তৃণমূল সরকার এনআরসি দিয়ে শরনার্থীদের ভয় দেখাচ্ছে। তবে, আমি সমস্ত শরনার্থীদের আশ্বস্থ করে বলছি, সিটিজেন এমেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে আমাদের কমিটমেন্ট আছে। শিখ, বৌদ্ধ ও হিন্দু শরনার্থীদের দেশ ছাড়ার কোনও দরকার নেই। তারা সম্মানের সাথে এদেশে থাকার অধিকার পাবেন। তারা এদেশের অভিন্ন অঙ্গ।”
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যের প্রথম নির্বাচনী সভা থেকে এনআরসি নিয়ে এমনভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন। তিনি বলেন, একদিকে যখন গরু পাচার, তোলাবাজি করে তৃণমূলের গুন্ডারা নিজেদের ঘর ভরছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের বিকাশ করে যাচ্ছেন।” আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী জন বার্লাকে পাশে নিয়ে কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারন মানুষকে বার্তা দিয়ে বলেন, “২০১৯ সালের নির্বাচন গোটা দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন। এই নির্বাচন ঠিক করবে আগামী ৫ বছর দেশ কোন পথে যাবে। দেশের সুরক্ষার দিক থেকেও এটি খুব গুরুত্বপূর্ন নির্বাচন। আর বাংলার জন্য এই নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচন ঠিক করে দেবে বাংলায় লোকতন্ত্র থাকবে কিনা?” বলেন, “এবার বাংলায় হাওড়া থেকে আলিপুরদুয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের হার নিশ্চিত। বাংলায় তৃণমুল লোকতন্ত্র সমাপ্ত করে দিয়েছে। বাংলায় তোলাবাজির রাজ চলছে। সাধারন মানুষের আজ ত্রাহি মাম অবস্থা। তাই আমি দিদিকে বলতে এসেছি আপনার সময় শেষ। বাংলায় কমিউনিস্টদের থেকে বাঁচার জন্য দিদিকে এনেছিলেন আপনারা। আজকে সবার মনে হচ্ছে দিদির এই সরকারের থেকে কমিউনিস্টদের সরকারই ভাল ছিল।”
একই সাথে নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন,“গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৩৭শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এবার যাতে বাংলার মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যাবস্থা আপনারা করুন।”
সভায় ছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, রূপা গাঙ্গুলি সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। সভা শেষে তিনি হ্যালিকপ্টারেই আবার ফিরে যান।