মুকুল ম্যাজিক চলছেই, ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পথে বিধায়ক

গত রবিবার সকালেই জানা গিয়েছিল, নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং দিল্লি চলে গিয়েছেন। অপেক্ষা ছিল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার। সোমবার যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। সঙ্গে গারুলিয়া পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও। সেদিন রাতেই খবর ছিল, আরও একটা ধাক্কা আসতে চলেছে। দুপুরের পর থেকে ‘নিরুদ্দেশ’ হয়ে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। খবর ছিল, বনগাঁ পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর ও ১৫টি পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে বিশ্বজিৎও নাকি দিল্লি চলে গিয়েছেন। সুনীলদের সঙ্গে তিনিও নাকি দলবল নিয়ে যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে। সেই খবরই সত্যি হতে চলেছে। সুনীল সিংয়ের সঙ্গে না হলেও মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ দাস হাতে তুলে নিতে চলেছেন বিজেপির ঝান্ডা। নেপথ্যে সেই মুকুল রায়।

গত কিছু দিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা যাবার তাঁরা চলে যান। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চ থেকে ফের সেই হুঁশিয়ারি শুনিয়েছেন তিনি। আর মঙ্গলবারই বনগাঁর বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।

লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। একের পর এক বিধায়ক, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্যকে ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। সোমবারই দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিংয়ের ভগ্নিপতি তথা নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং। সেইসঙ্গে গাড়ুলিয়া পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর। এবার সেই পথে পা বাড়ালেন বনগাঁ উত্তর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বনগাঁ পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর।

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে অনাস্থা পেশ করেন। তার পরে আরও তিনজন কাউন্সিলর সেই পথে হাঁটেন। তখন বিক্ষোভের মুখে পড়ে শংকর আঢ্য জানান, কাউন্সিলররা না চাইলে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি। বিদ্রোহী ১৪ জন কাউন্সিলর নিখোঁজ জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চেয়ারম্যান। তখনই বিদ্রোহীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা ওঠে। সেই জল্পনাই এখন সত্য হওয়ার পথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.