আজ গোটা দেশে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ চলছে। আর সকাল থেকেই এরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ছাপ্পা ভোট, বিরোধীদের মারধর, ভোটারদের মারধর করার ঘটনা সামনে আসছে। আর এই ঘটনা গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম। ভোট কর্মীদের দাবি মেনে অনুব্রতকে নজরবন্দি করলেও যে, কোন কাজ হয়নি সেটা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে।
এমনকি অনুব্রতর উপরে নজর রাখার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে, তিনিও নিজের দ্বায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেনি বলে অভিযোগ। যদিও অনুব্রত নজরবন্দি নিয়ে মাথা ঘামায় নি। গতকালই অনুব্রত বলেছিলেন, আমি যা করার করে দিয়েছি। ১০০ কেন ২০০ শতাংশ বুথেও যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়। তাহলেও কিছু করতে পারবেনা।
আজ বীরভূমের নানুরে বিজেপির মহিলা কর্মীদের হাতে চরম শিক্ষা পেয়েছে তৃণমূলের নেতারা। আজ নানুরে এক বিজেপি কর্মীকে ভোট দিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করেছিল তৃণমূলের নেতারা। আর সেই খবর পেয়ে বিজেপির মহিলা কর্মীরা লাঠি, ঝাঁটা হাতে তৃণমূলের কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। বিজেপির মহিলা কর্মীদের দেখে, তৃণমূল কর্মীরা ময়দান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। পরে এলাকার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে গিয়ে শাসিয়ে আসে বিজেপির মহিলা কর্মীরা।
বীরভূমের নানুরের এই ঘটনার পর সদাইপুর থেকেও একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর আসছে। সেখানে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি ভোট দিতে এসে লাইনে দাঁড়ানো দুই ভোটারকে লাইন থেকে বের করে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, ‘কুইক রেসপন্স টিম ভোটারদের আশ্বাস দিলেও, সময়মত তাঁদের হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছেনা।