পশ্চিমবঙ্গে এবার আসল পরিবর্তন হবে, দু’শোর বেশি আসন পাবে বিজেপি : মোদী

পশ্চিমবঙ্গে এবার আসল পরিবর্তন হবে, অত্যাচার আর চলবে না, চলবে না রক্তের খেলা। পশ্চিমবঙ্গে দু’শোর বেশি আসন পাবে বিজেপি। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন দুপুরে জয়নগরের মায়াহাউড়ী হাসপাতাল মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বাংলায় এবার বিজেপি দু’শোর বেশি আসন পাবে। বাংলায় আসন পরিবর্তন এবার হবেই।” জয়নগরের জনসভায় উপস্থিত ‘জনসমুদ্র’ দেখে আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি আসল পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের ঢেউকে আরও গতিশীল করবে বঙ্গের এই পবিত্র ভূমি। এবার বাংলায় বিজেপি দু’শোর বেশি আসন পাবে।” প্রয়াত শোভারানি মজুমদারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদী বলেছেন, “আমি বাংলার মেয়ে শোভা মজুমদারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে চাই। শোভা মজুমদারের মুখ সব সময় আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আমি দিদিকে বলতে চাই তৃণমূল বাংলার মানুষের জন্য কোনও ফুল নয় একটি শূল।” বৃহস্পতিবারই বঙ্গে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে, ভোটদানকে আশাব্যঞ্জক আখ্যা দিয়ে মোদী বলেন, “যেভাবে মানুষ ভোট দিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে বাংলায় এবার বিজেপি দু’শোর বেশি আসন পাবে। বাংলায় আসন পরিবর্তন এবার হবেই। বাংলার প্রতিটি কোণে শুধুই বিজেপির ঝড় উঠেছে। বাংলায় অত্যাচারীর খেলা আর চলবে না, রক্তের খেলা আর চলবে না। যে কাজ বাংলার মানুষ আগে করতে চাইতো, আজ নন্দীগ্রামের মানুষ তাই করে দেখিয়েছে। দিদি ভবানীপুরে নিজের পরাজয়ের ভয়ে নন্দীগ্রামে এসে দাঁড়িয়েছেন, আর নন্দীগ্রামে এসে দিদি ভাবছেন তিনি মারাত্মক ভুল করে বসেছেন।”
তৃণমূল নেত্রী মমতাকে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন, “দশ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলার মানুষের জন্য যদি কাজ করতেন, তাহলে এই দিন দেখতে হতো কি দিদি কে? দিদি আপনি বাংলার ভাষা সংস্কৃতি এমনকি এখানকার মান মর্যাদার ও অপমান করেছেন। দিদি আপনি যত খুশি আমাকে অপমান করুন, বাজে কথা বলুন। কিন্তু বাংলার রামকৃষ্ণদেব, নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ এই সব মহান মনীষীদের আমি অপমান করতে দেবো না।” অনুপ্রবেশ নিয়েও মমতাকে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী। তাঁর কথায়, “অনুপ্রবেশকারীদের খুশি করার জন্য দিদি বাংলার মানুষদের ভুলেই গিয়েছেন। এই দশ বছরে তিনি যে কি উন্নয়ন করেছেন তার সঠিক জবাবও তার নিজের কাছেই নেই। আমফানের সময় আপনাদের সাহায্য করার পরিবর্তে এরা আপনাদেরই লুট করেছে। সেই সময় কেন্দ্র সরকার যে টাকা পাঠিয়েছিল সেই সাহায্য গরীব মানুষের কাছে পৌঁছানোর বদলে তৃণমূলের দফতরে পৌঁছে গিয়েছিল।” কাটমানি নিয়ে তৃণমূলকে তিরস্কার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে, কোনও চাকরির জন্য দরখাস্ত জমা দিতে, এমনকি হাসপাতালে ভর্তি অথবা কোনও ঋণের জন্যও বাংলার মানুষকে শুধু কাটমানি আর কাটমানিই দিতে হচ্ছে।”
জয়নগরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “নন্দীগ্রামকে অপমান করেছেন দিদি। কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইভিএম নিয়েও অসম্মান করেছেন। বাংলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দিদি।” জনসভায় উপস্থিত মানুষজনের উদ্দেশে মোদী বলেন, “চারিদিকে যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু লোক আর লোক। কিন্তু তার মধ্যেও এত বিশাল সংখ্যক মা আর বোনেরা এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন, যেটা আমার জীবনে এক বিশেষ শক্তির সঞ্চার করেছে।”