আনলক ফোরে আরও কিছু ক্ষেত্রে মিলেছে ছাড়। আগামী ৮ আগস্ট থেকে কলকাতায় শুরু মেট্রো পরিষেবাও। এরই মধ্যে করোনা রোগী দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য প্রতিদিনই বাড়ছে টেস্টের সঙ্গে। যদিও বাগে আনা যাচ্ছে না সংক্রমণ। সুস্থতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লেও সংক্রমণ রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৪৩ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতায় আক্রান্ত ৫৫১ জন। তবে ফের তিলোত্তমাকে ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৬৬৩ জন। তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দুই জেলায় যথাক্রমে ১৬৭ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস (coronavirus)। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭২১ জন করোনার কবলে পড়েছেন। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৮২২-য়। যদিও এখনও এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে চলেছে রাজ্যবাসীর। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি ৫৫ জন। তিলোত্তমায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। উত্তর ২৪ পরগনা এদিকেও এগিয়ে। একদিনে করোনার বলি ১২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত ৩,২৮৩ জন।
সংক্রমণের সার্বিক চেহারাটা এখনও বিশেষ স্বস্তিজনক না হলেও সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী হারই ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগাচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৮৩.০৪ শতাংশ মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৬ জন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনাতেও ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তুলনায় বেশি করোনাজয়ীর সংখ্যা। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনাজয়ী ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬১৬ জন।
করোনা রোগীকে চিহ্নিত করতে লকডাউন করার পাশাপাশি ট্র্যাকিং, ট্রেসিং এবং টেস্টিংয়ে জোর দিয়েছে প্রশাসন। কলকাতায় বাড়ি বাড়ি গিয়েও শুরু হয়েছে কোভিড টেস্ট। বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৭৩৮টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৭৩টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে।