ধূপগুড়ির দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলে অভিযোগ করল বিজেপি। নিহত-আহদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই রাজ্য সরকারের নিহতদের পরিবারে পিছু ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কেন্দ্রের থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী৷ এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নিহতদের ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা হয়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৪.৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন প্রত্যেক নিহতের পরিবার। গুরুতর আহতরা পাবেন মোট ১ লক্ষ টাকা। বুধবার পুরুলিয়ায় মৃতের পরিবারের সদস্যদের আড়াই লক্ষ টাকা করে অনুদান এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে রাজ্য। প্রতিযোগিতা করছে করুক, তাহলে আয়ুষ্মান যোজনার টাকাটাও দিয়ে দিক বরং।’’
মঙ্গলবার রাতে একটি পাথরবোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। আর সেই ওভারলোডেড ডাম্পারের নিচে চাপা পড়ে যাত্রীবোঝাই দু’টি ছোট গাড়ি। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে।গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে আরও অন্তত ১৫ জন।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় টুইটারে বাংলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত জলপাইগুড়িতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর আমাকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। এই দুর্ঘটনায় যাঁরা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন’।
এই ঘটনায় দু:খপ্রকাশ করে টুইট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘জলপাইগুড়িতে দুর্ঘটনার খবরে মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই…’।
ধূপগুড়ির দুর্ঘটনা ঘিরে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, BJP সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারা টুইট করলেন, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। এবিষয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, অন্য সময় বিপদেনআপদে ‘টিকি’ দেখা না গেলেও, বিধানসভা ভোটের আগে চমক দিচ্ছে বিজেপি।