ঘরে গরু নেই, কিন্তু আমফানের সময় দুটো গরু মারা যাওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে তৃণমূল নেতারা

আজ মহিষাদলে সভা করছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত আছেন বিজেপির সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী। তিনি শাসক দলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘হাতে চুল কানে দুল, এর নাম তৃণমূল।” পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্র গরু পাচার আর কয়লা কাণ্ডে জড়িত। বিনয় মিশ্রর সভাপতির নাম তোলাবাজ ভাইপো। এদের চৌকাঠে সিবিআই চলে এসেছে।

তিনি বলেন মোদীজি বলেন, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ”। আর আমার গীতা বলে, বহুজন সুখায় বহুজন হিতায়।” সবাইকে ভালো রাখা আমাদের কাজ। এরা সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছে। লকডাউনে গরিবদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দিয়েছে মোদী সরকার। কারোর ধর্ম, জাত দেখে মোদী সরকার কাজ করে না।

এই তৃণমূল নেতারা আমফানের টাকা চোর। আমফানের সময় ঘরে গরু নেই, কিন্তু বলেছে ঘরে দুটো গরু মরে গেছে, আর তাই বলে টাকা নিয়েছে। আমার কাছে সমস্ত লিস্ট আছে ভোটের প্রচারের সময় সব প্রকাশ্যে আনব। আমি এই দুর্নীতিবাজদের তুলে পাশের হলদী নদীতে ফেলব সবাই আশীর্বাদ করবেন।

উনি বলেন, বিজেপির সঙ্গে আমার ডিল হয়েছে সব জায়গায় সাংস্কৃতিক চর্চার আগে লেখা থাকবে বাংলার গর্ব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাজ্যের প্রতিটি স্কুলের সামনে লেখা থাকবে বাংলার গর্ব নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।

তিনি বলেন, আমার বিজেপির সাথে ডিল হয়েছে প্রতি বছর স্কুল সার্ভিস আর কলেজ সার্ভিস পরীক্ষা হবে, যোগ্যতা অনুযায়ী বেকারদের চাকরি দেওয়া হবে। শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে বলেন, ভোট এলেই শুধু ঘোষণা হয় শঙ্করপুরে বন্দর হবে। আমি নিজে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। তৃণমূল সরকারের যা জমি নীতি আছে, তাতে একটিও শিল্প হবে না। এমনকি চপ শিল্পও হবে না।

তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে বলেন, আমার ফোন নম্বর সবার জানা আছে। কিন্তু আমি ফোন তুলতে পারছি না। ভাইপোর পুলিশ আমার ফোন ট্যাপ করছে। দরকার থাকলে আমাকে হোয়াটস অ্যাপ করে দেবেন। আর মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট (আদর্শ নির্বাচন বিধি) টা চালু হতে দেন শুধু। এই অত্যাচার আর চলবে না।

তিনি বলেন, সাড়ে নবছর পর জমের দুয়ারে এসেছে সরকার। ভোটের আগে কয়েকটা ফর্ম দেবে, সেটা ফিল আপ করবেন ভোটের মুখে পাবেন ঢপের চপ। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত সব জায়গায় চলে। ভারতবর্ষে বিভিন্ন দলের সরকার আছে। কিন্তু এখানে চলে না! এখানে কারা কারা স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়েছেন হাত তুলে বলুন তো। এই সরকার থাকলে আমাদের রাজ্যে উন্নয়ন আর হবে না। বেকাররা চাকরি পাবে না। আমি চাই দিল্লী আর কলকাতা একই সরকার থাকুক। তাহলে শিল্প হবে, উন্নয়ন হবে চাকরি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.