লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের হাতখরচ দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের জন্য বিনামূল্যে ফর্ম সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রকল্পে যাতে দুর্নীতি না হয় সেদিকেও নজর রাখার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু এই মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে আত্মনির্ভর করতে চাইছেন। অথচ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে আরো বেশি পরনির্ভর করতে চাইছেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সমালোচনা করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগেই ইস্তেহারে বলেছিলেন এই প্রকল্পের সুবিধা সকলে পাবেন। কিন্তু এখন বিভিন্ন ক্যাটাগরির আনা হচ্ছে। কারণ সরকারের হাতে এখন টাকা নেই। তাই পশ্চিমবঙ্গে এখন শুরু হয়েছে প্রতিশ্রুতির স্বপ্নভঙ্গ।”
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মহিলাদের হাত খরচে পরিমাণেরো বিরোধিতা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পাল্টা দাবি, রাজ্যে সমস্ত জেনারেল কাস্ট ভুক্ত মহিলাকে মাসে তিন হাজার টাকা করে দিতে হবে। তপশিলি জাতি উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের দিতে হবে মাসে ৫ হাজার টাকা।” রাজ্যে মহিলাদের রোজগারের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। তার অভিযোগ, এই রাজ্য সরকার চাকরি দিতে ব্যর্থ। রাজ্য শিল্প নেই।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন,” রাজ্যের সব মহিলাকে যদি টাকা দিতে হয় তবে মাসে এর জন্য প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লাগবে। এই অর্থের অংক কমিয়ে কমিয়ে আনা হয়েছে। রাজ্যে ৫ কোটির বেশি মহিলা আছেন যাদের সাহায্য দরকার। কিন্তু সরকার প্রকল্পের আওতায় এনেছে দু-কোটির কিছু কম মহিলাকে। শুভেন্দুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যারা ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত এবার তাদেরকেও বঞ্চিত করবে সরকার।