নতুন বছর। গৃহস্থের বর্ষবরণ, ব্যবসায়ীদের হাল খাতার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বভারতীতেও বর্ষবরণ। তবে বিশ্বভারতীতে বর্ষবরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। ‘এসো হে বৈশাখ , এসো এসো’ সঙ্গীতে মুখরিত হয় কবি আশ্রম। সঙ্গীত ভবন ও বিভিন্ন ভবনের ছাত্র ছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে। রবিবার সন্ধ্যেয় বর্ষ শেষ মন্দির বা উপাসনার মধ্য দিয়ে বর্ষ বরণের প্রস্তুতি বিশ্বভারতীতে। উপাসনা গৃহের আচার্য রবীন্দ্র ভাবনা আলোচনা করেন নতুন ও পুরানো বৎসরের প্রেক্ষাপটে। সেই আলোচনার মাঝে মাঝে হয় রবীন্দ্র ও ব্রাহ্ম সঙ্গীত। সোমবার সকালে বর্ষ বরণ উৎসব শুরু সকাল ৫ টায় বৈতালিকের মাধ্যমে। সকাল ৭ টায় শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীরা সমবেত হন উপাসনা গৃহে। সেখানে রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘হে চির নূতন’, মন্ত্রপাঠ, ‘ অন্তর মম বিকশিত কর’, ভাষণ ইত্যাদি অনুষ্ঠানের পর সকলে হাঁটতে হাঁটতে হাজির হন রবীন্দ্র ভবনে। সেখানে প্রথাগত ভাবে রবীন্দ্র নাথের চেয়ারে মাল্যদান করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এরপর সকাল ৮-৪৫ মিনিটে পুরনো ঘণ্টা তলার কাছে শুরু হয় বর্ষ বরণ উৎসব। বিকেলের দিকে ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনেই নিয়ম পরিবর্তিত হয়। আগে বর্ষবরণ ও গুরুদেবের জন্ম দিন এক সঙ্গে পালিত হত। কারণ প্রচণ্ড দাবদাহ ও জল কষ্টের জন্য বিশ্বভারতীতে ছুটি পড়ে যেত। অর্থাৎ ২৫ বৈশাখ ছুটি থাকত। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। তাই ২৫ শে বৈশাখে আলাদাভাবে গুরুদেবের জন্ম দিন পালিত হয়। বিশ্বভারতীতে প্রথম নববর্ষ পালিত হয় ১৯৩৬ সালের ১৫ এপ্রিল। বাংলা ১৩৪৩ সালে। ১৯৪১ সালের ১৪ এপ্রিল তথা বাংলা ১৩৪৮ সালের ১লা বৈশাখ বর্ষ বরণের দিন কবির জীবদ্দশায় শেষ জন্ম দিন পালন হয়।