বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। বিধানসভা ভোটের আগে ঘর গোছাতে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলই। কখনও তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে তো আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলের পথে নেতা-কর্মীরা! তবে দল ভাঙানোর খেলায় শাসকদল তৃণমূলকে আরও এক গোল বিজেপির। বাংলায় মোদীর হাত শক্ত করতে বিজেপিতে যাচ্ছেন আরও এক তৃণমূল বিধায়ক।
জানা যাচ্ছে, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শান্তিপুরের বিধায়ক। সূত্রের খবর, আজ বুধবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শান্তিপুরের এই বিধায়ক।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে দিল্লিতে সদর দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেবেন তিনি। অরিন্দম জানিয়েছেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কোনও সুযোগ কাজের পাইনি। মানুষের জন্যে কাজ করতে চাই। আর সেই কারণেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া বলে জানিয়ছেন শান্তিপুরের এই তৃণমূল বিধায়ক।
বিধানসভা ভোটের আগে শান্তিপুরের বিধায়কের বিজেপিতে যোগ শাসকদল তৃণমূলের কাছে বড়সড় ধাক্কা হিসাবেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল নেতৃত্বের।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তৃণমূল সাগরের মতো। এক বালতি জল তুলে নিলে কিছু যায় আসে না।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ের পরে ২০১৭-য় তৃণমূলে যোগ দেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। কিন্তু আজ বুধবার তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন শান্তিপুরের এই বিধায়ক।
বিজেপির দাবি, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে। বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকদিন তৃণমূল ছেড়ে নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এরপরেই তৃণমূল বলবে, সাধারণ মানুষ তাঁদের পাশে রয়েছে? প্রশ্ন বিজেপির।
এই প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়ছেন, চলতি মাসের ৩০ তারিখ ফের বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে তাঁর এই সফর। যার মধ্যে অন্যতম তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান। কৈলাসবাবু জানিয়েছেন, অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেবেন তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে বহু নেতা।