‘কেউ হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁস করে দিলে কী করব?’, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে বেফাঁস মন্তব্য পার্থর

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছরের ধারা বজায় রেখে চলতি বছরের মাধ্যমিকেও প্রশ্নফাঁস নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দু’দিনই পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল সাইটে ঘুরতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যার ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে পর্ষদকে। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সব মহল। কিন্তু এই ঘটনায় খুব একটা বিচলিত নন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কেউ যদি আধঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করে দেয় তাহলে তুমি-আমি কী করব!” শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

২০১৯ এর মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁসই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাতদিনই পরীক্ষা শুরু কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল প্রশ্ন। চলতি বছরেও তাঁর অন্যথা হয়নি। প্রথম ও দিনে পরীক্ষা শুরুর পরই সোশ্যাল সাইে ছড়িয়ে পড়ে প্রশ্ন। প্রশ্নফাঁস ও টুকলির করার অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে কয়েকজনকে। ইংরাজি প্রশ্ন ভাইরাল হতেই বিরক্তি প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জরুরি তলব করেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্নফাঁস প্রসঙ্গে খানিকটা উদাসীনতাই প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “এবিষয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। খবর করার জন্য এসব করা হচ্ছে। কোথা থেকে প্রশ্ন ছড়াচ্ছে তা জানা যাবে।” সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ যদি আধঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করে দেয় তাহলে তুমি আমি কী করব!” যদিও অভিযুক্তদের শাস্তি মিলবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।

কিন্তু প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। খোদ শিক্ষামন্ত্রী কীভাবে এহেন মন্তব্য করলেন সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকেই। শিক্ষামন্ত্রীর এই বেফাঁস মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনায় এই সরকার ব্যর্থ এমন অভিযোগও করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.